কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চেম্বারে ডাক্তার দেখাতে হলো হতদরিদ্র হালিমা বেগম কে।

ইস্রাফিল খান ( গোপালগঞ্জ জেলা) প্রতিনিধি

কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরপাড় গ্রামের দরিদ্র আকলাস হোসেনের ৬০ বছর বয়সী স্ত্রী হালিমা অসুস্থ থাকায় গত শনিবার (১৬/৯/২৩) দুপুর ২ ঘটিকায় কোটালীপাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে চিকিৎসা নিতে। হালিমা বেগমের পরিবারের এক সদস্য বলেন আমি তাকে সাথে করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। জরুরি বিভাগে এলে তাকে ভর্তি করা হয়। তার স্থান হয় ফ্লোরে। ঘন্টা ২ পর এক নার্স একটি কাগজ দিয়ে বলেন এগুলো কিনে নিয়ে আসেন। ক্যানোলা, স্যালাইনসহ কিছু ওষুধ লেখা ওই কাগজে। বাহিরে ফার্মেসী থেকে ওগুলো কিনে আনি। এরপর অনেক ডাকাডাকির পর একজন নার্স এসে ক্যানোলা করে স্যালাইন লাগিয়ে দেয়। ক্যানোলা হাতে পুশ করার পর সামান্য কসটেপটুকুও হাসপাতাল থেকে পাই নাই। পাশের এক রোগী তার কেনা টেপ দেয়। রাতে রোগী অনেকটা অসুস্থ হয়ে পরে নার্সদের ডেকে পাওয়া যায় নাই। পরদিন রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোন ডাক্তার না দেখায় রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র চান। বিকালে ছাড়পত্র নিয়ে নিউ কোটালীপাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোটালীপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অনুপম বাড়ৈ কে দেখান। তিনি CBC, Ultrasonography, TSH, C.certain, RBS সহ কিছু পরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোর্টে তার জরায়ু সমস্যা ও রক্তে হিমোগ্লোবিন কম অর্থাৎ রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। চেম্বারে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হালিমা বেগম গতকাল (১৭/৯/২৩) রাতে বাড়ি ফেরন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার সর মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৩৫০০ টাকা।

এখন প্রশ্ন হল কোটালীপাড়া হাসপাতাল থেকে আমরা কি সেবা পাচ্ছি? সকল ওষুধ, সামান্য একটি সিরিঞ্জও যদি বাইরে থেকে কিনতে হয়? সব টেস্ট যদি বাইরে থেকে করতে হয়? ভর্তি হলে যদি ডাক্তার নার্সরা রোগীকে ভালোভাবে না দেখে তাহলে এই হাসপাতাল কিসের জন্য?

গরীব রোগীরা যদি এখান থেকে সেবা না পায় তাহলে এই হাসপাতাল কাদের জন্য?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *