সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান
আজ ২২/১২/২৩ ইং রোজ শুক্রবার দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ভোটারদের ভোট দিতে হবে। ভোটারকে ব্যালট পেপারের যে অংশটি দেওয়া হবে আগে সেখানে উল্টোদিকে শুধু একটি অফিসিয়ালি সিল দেওয়া হতো এবার সেখানে সরকারি প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। এটাও আমরা আইনে নতুন সংযোজন করেছি। এটা ছাড়া যদি কেউ জোর করে কেউ ভোট দেয় তাহলে সেই ভোট গণনা হবে না, সেই ভোট অবৈধ ও বাতিল বলে বিবেচনা হবে।
ভোটগ্রহণে নিজেদের কর্মকর্তাদের বিরত থাকার আহ্বান এবং কারা এমপি হবেন সেই তালিকা হয়ে গেছে রুহুল কবির রিজবীর এমন বক্তব্যে আনিসুর রহমান বলেন, উনার কাছে যদি তালিকা থাকে তাহলে প্রকাশ করতে বলেন। এটা রাজনৈতিক বক্তব্য। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যারা নির্বাচনী দায়িত্বে পালন করছেন তারা রাষ্ট্রীয় কর্মচারী। দল কিংবা সরকারি কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাহী বিভাগের সবার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচন কমিশন যাকে যেখানে দায়িত্ব দেওয়ার তাকে সেখানেই দায়িত্ব দিয়েছে।
তারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতেছে তাই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে কেউ যদি অবহেলা করে, অপারগ হয়, ব্যর্থ হয় তাহলে আইন যেভাবে চলার দরকার সেভাবেই চলবে।
তিন আরও বলেন, আমরা এখন সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের একটাই নির্দেশনা যা আমরা বলে থাকি, অবাদ, সুষ্ঠ ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া। এটি জাতির জন্য, দেশের জন্য, আমাদের অস্তিত্বের জন্য এবং আমাদের অর্থনীতির জন্য করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৯ তারিখ থেকে সেনাবাহিনী, বিজেপি, র্যাব,পুলিশ ও ব্যাটালিয়ান আনসার বাহিনী গুলি একের পর এক নির্বাচনী সব জায়গায় টহল দিবে। এবং তারা যেখানে সহায়তা দরকার সেখানে সহায়তা দিবে।