মাসুদ রানা সরিষাবাড়ী জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকায় প্রস্রাব করতে নিষেধ করায় পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে পল্লব হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ী তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ঝুটন কুমার বর্মন।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলার জগত জোড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আসলাম খান, ভুয়াপুর ললিন বাজার এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাইফুল ইসলাম, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের রাধা নগর গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে আ. হালিম ও পোগলদিঘা কান্দাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজু মিয়া। এ ঘটনায় আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছানোয়ার হোসেন ছানার বাসার সম্মুখে দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করছিল আসলাম নামের এক বাসের শ্রমিক। এ সময় ওই বাসার ভাড়াটিয়া ও তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্য পল্লব হোসেন স্কুল থেকে তার ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার সম্মুখে এসে এভাবে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে ওই পুলিশ সদস্য তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু বখাটে শ্রমিক উল্টো তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং বিতর্কে জড়ান। পরে ওই বাস শ্রমিক তার সহকর্মীদের ডেকে এনে পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে এ ঘটনায় ৪ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কান্দারপাড়া বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিউর রহমান মতি বলেন- আমি শুনেছি, বাস শ্রমিক আসলাম উদ্দিন বাস থেকে নেমে বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে ছানার বাসার দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করছিল। এ সময় পুলিশ সদস্য পল্লব হোসেন তাকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে। পরে আসলাম তার সহকর্মীদের সঙ্গে ওই পুলিশ সদস্যের বাসায় গিয়ে তাকে অফিসে আসতে বলে। সে পরে আসবে বলে জানালে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চারজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। আমরা এ বিষয়টি বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।