মোঃরিয়াজ মাহমুদ (রাঙ্গাবালী) পটুয়াখালী প্রতিনিধি.
গত ১৪ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বঙ্গোপসাগর থেকে নিখোঁজ হয় রাঙ্গাবালী উপজেলার সমুদ্রগামী ৩টি মাছ ধরার ট্রলার। নিখোঁজের পর এক সপ্তাহ পার হলেও ২৫ জন জেলেসহ ৩টি ট্রলারের খোঁজ মেলেনি আজও। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান পেতে সরকারের সহযোগিতা চায় তাদের পরিবার।
এদিকে কোনো ধরনের খোঁজখবর না পেয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন নিখোঁজদের পরিবার ও স্বজনরা। বাড়িতে বাড়িতে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারি যেন থামছেই না।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জেলে পল্লিতে এখন শোকের মাতম। উত্তাল সাগরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন কারও সন্তান, কারও বাবা আবার কারও স্বামী। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে স্বজন হারানোর শঙ্কা। তাই নিখোঁজ জেলে জহির মাঝির বৃদ্ধা মা আর স্ত্রীর বিলাপ থামছে না কারও আশ্বাসেই।
নিখোঁজ জহির মাঝির মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমি আর কিছু চাই না। আমার ছেলেরে আইনা দেও।
জহির মাঝির স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা স্থানীয় ট্রলার নিয়ে সাগরে খোঁজ করতে লোক পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ না পেয়ে খুবই চিন্তায় আছি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পর সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছেন। ট্রলার ডুবে গেলে কিংবা কেউ মারা গেলে এত দিনে খবর পাওয়া যেতে। তবে অতীতের মতো ট্রলার ভেসে ভারতে গিয়ে আটকা পড়ার ধারণা করছেন মৎস্যজীবীরা।
কোড়ালিয়া মৎস্যজীবী মালিক সমিতির সভাপতি জহির হাওলাদার বলেন, আমাদের সাধ্যমতো খোঁজ করছি। থানায় জিডি করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের সহযোগিতা পেলে সাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ভালোভাবে খোঁজ নেওয়া যেত।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বৈরী আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আমরা তাদের পরিবারগুলোর পাশে আছি।