এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি।।
আজ ২৯ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ‘ মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ ‘উপলক্ষে বান্দরবানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের , ফানুস উড়ানো, রদ যাত্রা ও পিঠা তৈরি দিয়ে এই আয়োজন করেছে ।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব “শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা “। এটিকে “আশ্বিনী পূর্ণিমা” নামেও পরিচিত। ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’ মারমাদের ভাষায় ” মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ “বলা হয়।
বৌদ্ধদের মতে,
আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করা হয়।এই পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন।
বৌদ্ধদের মতে, এই পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত পরনানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করেন ।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের , ফানুস উড়ানো ও পিঠা তৈরি দিয়ে সুখ, শান্তি ও কল্যাণের বয়ে আসুন মানবজাতির। তাই প্রতিবছর বান্দরবানে এক বিশাল আয়োজন হয়ে থাকে।