শালিক পাখি বন্ধু হয়ে উঠেছেন ঝিনাইদহ জেলা সংবাদিক মোঃ অমিদ হাসান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মোঃ অমিদ হাসান:

এই দৃশ্য প্রতিদিন ভোরে দেখা যায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা গুড়দাহ বাজারে ,ঝাঁপ তুললেন। এরপর বের হলেন খাবারের গামলা নিয়ে। তাঁকে দেখে মাটিতে নেমে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে গাঙশালিক। শুরু হলো কিচিরমিচির শব্দে ছোটাছুটি, হুড়াহুড়ি।এর মধ্যেই বিভিন্ন গাছ, ভবনের ছাদ ও বৈদ্যুতিক তারে সারি সারি গাঙশালিকের অপেক্ষা।রেস্তোরাঁটি এখন দেখভাল করেন তাঁর ছোট মোঃ কাবিল হোসেন ছেলে মোঃঅমিদ হাসান । এখন এই দুই দোকানের সামনেই পাখিকে খাবার দেওয়া হয়। প্রতিদিন ভোরে মিলনকে এই কাজে সহায়তা করেন তাঁর ছেলে। গামছা কাঁধে হাঁটতে হাঁটতে দোকানে এলেন একজন।ভালোবাসা এমন এক শক্তি যা দিয়ে জয় করা যায় সবকিছু। এমনকি ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বুনো পাখিরাও ভয়কে জয় করে মানুষের কাছে ছুটে আসে। ভালোবাসার এমনই এক নজির সৃষ্টি করেছেন ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর উপজেলার দুই দোকানি।১৫ বছর ধরে অসংখ্য শালিক পাখিকে খাইয়ে আসছেন তারা। এমনকি করোনা মহামারির চরম সংকটকালেও এই দুই পাখি প্রেমীর খাবার দেয়া একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। এই খাবারের জন্য প্রতিদিন কয়েকশ শালিক পাখি মহেশপুর উপজেলা গুড়দাহ বাজারে ব্যস্ততম ঈগল চত্বরে ছুটে আসে। সেখানে মিতালী হয় মানুষ আর পাখির।তাই সকালেবেলা কোনও কাজের জন্য বেরোলে তখন যদি সামনে এক শালিক চলে আসে, ভয় পেয়ে যান অনেকেই। পাশাপাশি দুই শালিক দেখলে মন ভাল হয়ে যায়।দোকান খোলার সময় এরা কিচিরমিচির শব্দ করত। প্রথম কয়েক দিন উপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু একদিন সকালে পাখির সেই কিচিরমিচির আওয়াজ শুনে মিলনের মনে হলো, এই শব্দ যেন ক্ষুধার্ত পাখিদের এক ধরনের আর্তনাদ। তখন তিনি নিজের খাওয়ার জন্য আনা মুড়ি-চানাচুর ছিটিয়ে দিলেন সামনের খোলা জায়গায়। বনবিভাগ থেকে কিছু অনুদান দেন পাখি গুলো তাহলে আরো খুশি হতাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *