রুটিনে একজন শিক্ষকের সপ্তাহে একদিন ক্লাস: ইবি উপাচার্য

ইবি প্রতিনিধি:

“ওইদিন এক ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখেছি, ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জনই অনুপস্থিত। এত বড় প্রসিদ্ধ ডিপার্টমেন্ট, অথচ যার চেয়ারম্যান অনুপস্থিত। আমি এমনও রুটিন দেখেছি, একজন শিক্ষকের সপ্তাহে একদিন ক্লাস আছে, বাকি দিন ক্লাস নেই। তাই আজকে আমি আপনাদের বুকে হাত দিয়ে উপলদ্ধি করতে অনুরোধ জানাই, আমাদের জাস্টিস করা উচিত। কেননা এটা আমাদের মাতৃসম প্রতিষ্ঠান। তবুও আমি শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানাই, তারা এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় তাদের মেধার, দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।”

বুধবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শিক্ষকদের প্রথম কাজ লেকচার দেওয়া নয়। তাদের প্রথম কাজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে শেখানো। তাদের মেধাকে উস্কে দেওয়া। যত আমরা তাদের প্রশ্ন করতে শেখাবো ততই আমরাও একজন সমৃদ্ধ শিক্ষক হিসেবে আমাদের মর্যাদাকে উপরে তুলে ধরতে পারবো। আমরাই তাদের ফিলোসফার, আমরাই তাদের গাইড। আমরা যাদের পড়াচ্ছি, তাদের যদি আরো সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তারা অনেক এগিয়ে যেতে পারবে। সেটা শুধু কোন প্রতিষ্ঠানে নয়, দেশে-বিদেশেও বটে।”

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকসহ প্রায় ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

পরে স্টুডেন্টস ই-পেমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনের করেন উপাচার্য। এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক শাহীনুর রহমান ও আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

এর আগে সকাল ১০ টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রশাসন ভবন চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা এবং আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে ৪৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপাচার্য।

পরে সেখান থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে জাতির পিতার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য।

পরে বিকাল ৩ টার দিকে মিলনায়তনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *