রাজশাহীর সড়কে সূর্য মুখী ফুলের হাসি

৩০-০৩-২০২৪

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো

ঋতুরাজ বসন্তের নির্মলতা কাটিয়ে,চৈত্রের খরতা। সকালের উজ্জ্বল রৌদ্রে সূর্যমুখী ফুলে দোলা দিচ্ছে,মৃদু বাতাস।সারিসারি গাছে,দিগন্ত থেকে উঠে আসা,নজর কারা হলুদ সূর্যমুখী। সূর্যের সাথে এর, দারুণ সক্ষতা। প্রাণবন্ত হলুদে অপরূপ সৌন্দর্য,নজর কাড়ছে পথচারীদের। এমন দৃশ্য,সবুজ আর নির্মল বায়ুর শহর রাজশাহীর। নগরীর সড়ক বিভাজনে দাঁড়িয়ে,মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আপন মহিমায়। এ যেন সূর্যমুখীর মেলা। ফুলের অপার সৌন্দর্য,মন ছুঁয়েছে নগরবাসীর। সূর্যের মতো হুবহু দেখতে বলে,এই ফুলের নাম দেওয়া হয়েছে সূর্যমুখী।

রাজশাহী সিটি মেয়র, এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, বেশ কয়েকটি সড়কের বিভাজনে লাগানো হয়েছে, দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখী। দিনের বেলা আকাশের দিকে এমন ভাবে চেয়ে থাকে যেন,সূর্যের সাথে তার,গভীর কথোপকথন । আর রাতে রাজমুকুট অথবা প্রজাপতির ডানায় জ্বলে ওঠা,চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বল আলোয়,হাসিমুখে সবটুকু সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয়া। রূপে,গুনে অনন্য এই ফুল, সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে, নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চারদিকে হলুদ আর মাঝে সবুজের গালিচা,এমন মায়াবী রূপ,মন কেড়ে নেয় সবার। প্রতিটি সড়ক বিভাজকে সূর্যমূখীর মায়াবী হাসি,সবুজ পাতা ভেদ করে,উকি দিচ্ছে আকাশপানে। তাইতো ফুল কে নিজের সৌন্দর্যের সাথে জড়িয়ে রাখতে,প্রিয়জনদের নিয়ে একটু ঘোরা ফেরা আর মাঝে মাঝে দু একটা সেলফি।

সূর্যমুখীকে বলা হয় জৈবিক ঘড়ি। এর বৈজ্ঞানিক নাম হেলিয়ানথেস এনাস। প্রকৃতি প্রেমীদের মন ভালো করতে, তার রূপের জানান দেয় বছরে একবার। তাইতো সৌন্দর্য পিপাসুরা ছুটে আসে,এর রূপ দর্শনে।সূর্যমুখী যেন সবাইকেই সুযোগ করে দেয়,তার সৌন্দর্য উপভোগ করার। অন্যকে নিজের সবটুকু সৌন্দর্য বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই যেন,তার সৃষ্টির সার্থকতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *