মেয়ের দেখানো পথেই চলে গেলো মা

জেলা প্রতিনিধি

রাহুল রহমান

কলেজ পড়ুয়া মেয়ে প্রেম করছিলেন। ছেলে খারাপ হওয়ায় বাবা-মা বাধা দিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে। পরবর্তীতে এ সম্পর্কে ফাটল ধরায় ,তিনি সিদ্ধান্ত নেন আত্মহত্যা করার। তনয়া নামের সেই মেয়েটি গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ এ নিজের ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে । তনয়া ছিলেন পরিবারের ছোট মেয়ে, ছিলেন খুব আদরের ।মেয়ের শখ আল্লাদ এমন কোন কিছু নেই যে পূরণ করেননি তার বাবা। মেয়ের এমন অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি মা তাই মেয়ের আত্মহত্যার বছর না
পেরুতেই একই ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিল মা।

শনিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিক নিজের মেয়ের আত্মহত্যার জায়গায়ই তিনি (৪২) একই ভাবে ফাঁস নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,,তনয়ের মা মনি আক্তার মেয়ে মারা যাওয়ার পর থেকেই অনেক ভেঙ্গে পড়েছিল খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করত না একা একা কান্নাকাটি করত ওর বাবা নুরুজ্জামান ফকির অনেক সান্তনা দিয়েও ফেরাতে পারলো না শেষ পর্যন্ত।
জানা যায় শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর তয়নার বাবা নামাজে গেলে এই ফাঁকে তয়নার মা সেই রুমেই একই ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তয়নার বাবা বাসায় এসে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সাহায্যে লাশ নিচে নামানো হয় ।

তয়নার এক সহপাঠী আমাদের জানান,, আমি তাদের পরিবারে মেয়ের মত ছিলাম তয়না মারা যাওয়ার পর থেকেই আন্টি অনেক মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল আন্টিকে অনেক বুঝাতাম কিন্তু তিনি কোনভাবেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না গত বৃহস্পতিবারও একসাথে ইফতার করেছি কিন্তু আন্টি আজ নেই আঙ্কেল এস কতটুকু কাটিয়ে উঠতে পারবে এখন তা নিয়ে ভাবছি।

পুলিশ জানায় ,আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *