মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে গ্রাম পুলিশের ছেলের ভর্তি অনিশ্চিত।
বিপুল রায়- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে গ্রাম পুলিশের ছেলে একরামুল হকের। তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্রতা। একরামুল হক রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ১১ নং নুনখাওয়া ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে সে। একরামুল হকের বাবা নুন খাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মা গৃহিণী। পরিবারে অভাব-অনটন যাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ৪ ভাই সহ তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। একরামুলের পিতা বর্গা চাষী ও গ্রাম পুলিশের চাকরি করে সংসার চালান। তার বাবার পক্ষে একাই সংসার চালানো খুবই কঠিন। তাই একরামুল মেধা তালিকায় স্থান পেলেও মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
একরামুলের পিতা হযরত আলী আমাদের প্রতিনিধি সাইফুর রহমান শামীমকে জানান ছেলে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে এতে আমি খুবই খুশি। কিন্তু আর্থিক অনটনের সংসার আমার। অনেক কষ্টে ছেলেকে এত দূরে এনেছি। মেডিকেলে ভর্তি করা সহ পড়াশোনার ব্যয়বহনের অবস্থা আমার নেই। কিভাবে ছেলের ভর্তির টাকার যোগান হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। একরামুল হক বলেন আল্লাহ পাক আমাকে মেধা দিয়েছে। কিন্তু বাবা মাকে অর্থ দেয়নি। প্রথম শ্রেণী হতে আমি প্রথম স্থান অধিকার করে আসছি। এসএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছি। এ ব্যাপারে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ১১ নং নুনখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের ইউনিয়নে এইবার প্রথম গ্রাম পুলিশের ছেলে মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে। আমরা ইউনিয়নবাসী গর্বিত। তবে অসহায় পরিবারের এই মেধাবী ছাত্রের ভর্তি সহ লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ চালানোর জন্য তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।