মোঃ আসাদুজ্জামান মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সালে কৃষক বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল পরিদর্শণ ও সেখানে পাঠদান করান উপজেলার মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ। ৭ম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ের স্থান পাওয়া বাংলাদেশের কৃষক বিদ্রোহ বিষটি শিক্ষার্থীদেও সরাসরি বোঝানোর জন্য ৪ অক্টোবর শনিবার দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ।
সকাল দশটায় উপজেলার উদরতাঁরা বুড়িরচর মোমিন মসজিদ চত্বরে পৌছে “ফিরিঙ্গিদের জমিনা—খাজনাও তাই দিমুনা” এই শ্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত করে মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থরা। পরে কৃষক বিদ্রোহে শহীদ হওয়া ইদির, খিদির, ইসাফ এ তিন ভাইয়ের কবর জিয়ারত করা হয়।
পরে মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোমিন মসজিদ চত্বরে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ১৩১ পৃষ্ঠার তুষখালীর কৃষক বিদ্রোহের উপর পাঠদার করান।
পাঠদান শেষে অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ আবু জাফর আহমেদ, শিক্ষক ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান তালুকদার, ইতিহাসবিদ লেখক আবুল কালাম আজাদ আকন, কবি মোস্তফা কামাল খান, মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক এনামুল হক মৃধা, প্রভাষক নাসরিন আক্তার নীলা, প্রভাষক মোঃ আবু জাফর প্রমুখ।
এসময় এলাকার একটি কৃষক জোট অনুষ্ঠানে কৃষক সেজে কৃষক আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগায়। জমিদারী প্রথা বাতিলের জন্য ১৮৩০ থেকে ১৮৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কৃষক বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে।
মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান বলেন, খুবই অযত্নে অবহেলায় পরে রয়েছে এক স্থানে কৃষক বিদ্রোহের ৩ শহীদের কবর। সেকানে যেতে রাস্তা খুবই খারাপ। তিনি সরকারের কাছে এ কবর ৩ টি রক্ষণাবেক্ষণ, স্মৃতিসৌধ এবং কৃষক বিদ্রোহের চারন ভূমিতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের অনুরোধ জানান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আশার পথটি সুগম করার জন্য রাস্তা পাকা করনের আহ্বান জানান।
মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসার প্রায়াত শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বান্ধবপাড়া ছালেহিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সরকারি অধ্যাপক মরহুম কামাল হোসেন ও প্রায়াত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলীর রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুেও বান্ধবপাড়া মাদরাসা অ্যালামনাই অ্যাসেসিয়েশনের আয়োজনে মাদরাসা মিলনায়তনে বান্ধবপাড়া মাদরাসা অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক জমাদ্দার এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি সৌদি প্রবাসি আলহাজ্ব ইউসুফ মাহামুদ ফরাজী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বান্ধবপাড়া ছালেহিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, গুলিশাখালী জিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূও হোসাইন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, টিয়ারখালী এম এ মজিদ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব এম এ ওহাব হাওলাদার, বান্ধবপাড়া ছালেহিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ এ কে এম আঃ রহমান, গুলিশাখালী ছালেহিয়া আলিম মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ জহিরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক মোঃ আমীর হোসেন বিএসসি, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ফারুক ফরাজী, ইয়াকুব আলী ফরাজী, আলগী পাতাকাটা দাখিল মাদরাসার সহ সুপার মাওঃ আনোয়ার হোসেন পহলান, বান্ধবপাড়া মাদরাসা অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ—সভাপতি মোঃ মহিবুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ, রিয়াজুল ইসলাম পহলান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক তানভীর ফরাজী, কোষাধ্যক্ষ আরিফ বিল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মাওঃ মুশফিকুর রহমান।
মাদরাসার সাবেক ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ জিয়াউল হক (সবুর) হাওলাদার, মাওঃ দেলোয়ার হোসেন, মাওঃ আমির হোসেন খলিফা, মোঃ ছালেহ উদ্দিন, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মাওঃ আবু ছালেহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ ইস্কান্দার আলী ফরাজী। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন বান্ধবপাড়া মাদরাসা অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম পহলান।
এসময়ে সহকারী অধ্যাপক মরহুম কামাল হোসেনের স্ত্রী, সন্তান, পিতা, শ্বশুর সহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বান্ধবপাড়া ছালেহিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার আরবি প্রভাষক হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ।