আব্দুল্লাহ আনছারী আকরাম
ভালুকা(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:
ভালুকায় চিহিৃত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু সালাহ উদ্দিন সরকার কর্তৃক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার জমি জবরদখলসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদানের প্রতিবাদ ও প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী ও তার পরিবার। রোববার দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত টিএন্ডটি’র প্রশাসনিক কর্মকতা মো. জয়নাল আবেদীন।
লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি আমার সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী মৌজার এসএ খতিয়ান নং – ১১৬, বিআরএস হাল বুজারত-৯৫৬৬, এসএ দাগ নং -৮২৯ এর স্থানীয় জোতদার ফজর আলী শেখের নিকট হইতে বিগত ০৫/০৫/২০০৯ ইং তারিখে সোয়া বিশ শতাংশ জমি ক্রয় করে, মালিকানা নিয়ত থেকে উক্ত জমির পাঁকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করিয়া ভোগ দখল করে আসছি। উক্তরুপ অবস্থায় ২০১৫ইং সনের জানুয়ারী মাসে স্থানীয় চিহিৃত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু হাজী সালাহ উদ্দিন সরকার আমাকে প্রস্তাব দেয় যে, আমার মালিকানাধীন উল্লেখিত জমিটি ইন্ডাষ্ট্রিজ করার জন্য তাহার বিশেষ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে প্রথমে তিনি বাজার মূল্যে টাকা প্রদান করে ক্রয়ের প্রস্তাব করেন। আমি তাতে রাজি না হওয়ায়, তিনি তার মালিকানাধীন রাজধানীর বসুন্ধরা হাউজিং লিমিটেডের পি ব্লকে থাকা ৫ কাঠার একটি প্লটের সাথে এওয়াজ বদল করার প্রস্তাব করেন। আমি এওয়াজ বদল করার প্রস্তাবে রাজি হই।
কিন্ত, উল্লেখিত এওয়াজ বদলকৃত সম্পত্তির এওয়াজ বদল দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন না করে সে আমাকে তার মালিকানাধীন উক্ত জমি বুঝিয়ে না দিয়ে ও আমার মালিকানাধীন জমি বুঝে না নিয়েই ২০১৫ ইং সনের জানুয়ারী মাসে সালাহ উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার মালিকানাধীন উক্ত জমিতে তার নামে ক্রয়সূত্রে মালিক লেখা সম্বলিত একটি সাইন বোর্ড টানিয়ে জবর দখল করেন। এর কিছুদিন পর আমার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে তাতে কয়েকটি আধাপাকা রুম নির্মাণ করে। ওইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে গত ২৪/০৩/২০১৫ ইং তারিখ ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করি। মডেল থানার জিডি নং-৮৮৪।
এ বিষয়ে আমি বার বার তার সাথে যোগাযোগ করলে, সে নানা তালবাহানা শুরু করেন। আমি বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন সরকারের বড়ভাই ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন, তার বোনজামাই ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাইনি। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য নিয়ে পুণরায় তার কাছে গেলে সালাহ উদ্দিন সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করলে আমি পালিয়ে চলে আসি। তার পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে আসছে।
আমি আমার মালিকানাধীন তিনকোটি টাকা মূল্যের জমি দখলমুক্ত ও উল্লেখিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে গত ১৯/০৫/২০২৪ইং তারিখে পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর ও গত ২৬/০৫/২০২৪ইং তারিখ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত আবেদন করেছি।