মোঃ শামিম উদ্দিন – বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:
৬/১০/২০২৩
শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি, এই প্রতিপাদ্যে কে সামনে রেখে এবার দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সারা দেশের ন্যায়ে বাঘাইছড়িতে ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুমানা আক্তার। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন জন্ম নিবন্ধন হলো একজন মানুষের প্রাথমিক পরিচয় পত্র এই জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যামে একজন জন্ম নেওয়া শিশু দেশের নাগরিক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। এই জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যামেই এক জন শিশুকে টিকা দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়। তাই জন্ম নিবন্ধন একজন শিশুর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে মানুষ কে সচেতন করতে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত জন প্রতিনিধি এবং গ্রাম পুলিশ সদস্যদের গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসছেন। শিশু জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে জন্ম নেওয়া শিশুর বাড়িতে গিয়ে যেন শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়,এবং জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে যেন জন্ম নিবন্ধন করে তার আহবান করে। কোন ব্যাক্তি যদি মৃত্যু বরন করে তাতেও যেন মৃত্যু ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে শোক বার্তা জানানো হয় এবং মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য আহবান করে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং সঠিক সময়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করবে বলে প্রধান অতিথি মনে করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জনাব জমির হোসেন। তিনি বক্তৃতায় বলেন পৌরসভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সঠিক সময়ে জনগনের দারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া এটা ওনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তিনি বলেন নির্বাচনে পৌরবাসীর কাছে তিনি ওয়াদা বদ্ধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য কোন মানুষ যেন ভোগান্তি পেতে না হয় সে লক্ষে তিনি কাজ করবেন। ইতিপূর্বে তিনি সেই কথা কে বাস্তবে রুপ দিয়ে সঠিক সময়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পৌরবাসীর হাতে তুলে দিয়ে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল কাইয়ুম। তিনি ওনার বক্তৃতায় বলেন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে জনগণকে সেবা প্রদান করার জন্য উপজেলা পরিষদের উদ্যেগে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সরকারি প্রশিক্ষনের মাধ্যামে সচেতন করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জনগন যেন সঠিক সময়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আওতায় আসে সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে উপজেলা পরিষদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত। আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান গন।