ফিজিওথেরাপি পেশা নিয়ে কটুক্তি,যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের কঠোর হুশিয়ার

আল আমিন, যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেকশন অফিসার গ্রেড-১ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি পেশাকে নিয়ে কটুক্তি করেন।ওই পোস্টটি ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের শিক্ষার্থীদের নজরে আসায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন পিটিআর বিভাগের শিক্ষার্থীরা।মিজানুর রহমান ফেসবুকে লেখেন”ঢাকার থেরাপিস্টই যশোরের ডাক্তার কি আজব দুনিয়া। ”

 

২৮ আগস্ট (বুধবার) প্রশাসনিক ভবন এর নিচ তলায় নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানের ১১২ নং রুমে গিয়ে ফেসবুকে লেখা পোস্টের বিষয়ে জবাব চান পিটিআর বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি ও এ পেশার বিভিন্ন আইন-কানুন সম্পর্কে মিজানুর রহমানকে অবগত করেন যেন তার ভ্রান্ত ধারণা না থাকে।শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতেই তিনি ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লেখা পোষ্টের প্রিন্ট কপি ও জাতীয় সংসদ থেকে পাশকৃত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন -২০১৮ ও বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন বিপিএ কর্তৃক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির প্রিন্ট কপি ও ডা. পদবী ব্যবহার করা যাবে এ বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের রীট পিটিশন সম্পর্কে অবহিত করেন।

পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি ভবনের সামনে দিয়ে জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে আবারও প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন।এসময় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদমূলক বিভিন্ন স্লোগান দেন।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বিবৃতি দেন যে, বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি পেশা একটি সতন্ত্র চিকিৎসা পেশা। এই পেশা নিয়ন্ত্রিত হয় “বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল” কর্তৃক। সুতরাং ফিজিওথেরাপি পেশাকে কেউ বিতর্কিত করার চেষ্টা করলে তাকে তাকে হুশিয়ার করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে এই পেশাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিবো। ইট’স “লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *