সাগর আহম্মেদ পলাশবাড়ী প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পৌর শহরে রংপুর বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত নিউ লাইফ ক্লিনিক নামে চিকিৎসা সেবাদান বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গত বুধবার রাতে জমজ নবজাতকসহ প্রসূতি এক মায়ের মৃত্যুর ঘটনাটি নিরবে নিবৃতে ধাপাচাপা পড়ে গেলো। নিহত প্রসূতি মা বাড়াইপাড়া গ্রামের কন্যা ও বড় শিমুলতলা গ্রামের গৃহবধূ। প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ না থাকা নিরবে নিভৃতে ঘটনাটি ধামাচাপায় পড়ে গেলো৷
দেখেও দেখলো না, জেনেও জানলো না কেউ। অথচ তিনটি প্রান চলে গেলো নিরবে, চিকিৎসা নিয়ে বানিজ্যকারি এ চক্রটি ঘটনাটি ধামাচাপা দিলো আর জমম নবজাতকসহ প্রসূতি মায়ের দাফন সম্পন্ন হলো। ময়না তদন্তে কাটাছেড়াসহ ধর্মীয় অনূভুতির নানা বিষয়ে তুলে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রসূতির পরিবার কে ম্যানেজ করে মরদেহ এম্বুলেন্স তুলে দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের লোকজন। একজন প্রসূতি মা জমজ সন্তানের সিজার করার মতো নিউ লাইফ ক্লিনিকে কি এমন সুবিধা ছিলো যা পলাশবাড়ীতে সরকারি হাসপাতালে ছিলো না। কি কারণে জমজ সন্তানসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হলো। সংশ্লিষ্টরা এখনো জানেন কি না তা জানতে হবে? এরপর জানতে হবে তাদের ক্লিনিকের কার্যক্রমের বৈধতা ও ব্যবহৃত সরেঞ্জামাদি সুবিধা, বিশেষজ্ঞ সেই বিখ্যাত চিকিৎসকের নাম যার মাধ্যমে এমন সফল সিজার সম্পন্ন হল নিউ লাইফ ক্লিনিকে।
প্রসূতি ও জমজ নবজাতকের ময়না তদন্ত যখন হলোই না , তাহলে নিউ লাইফ ক্লিনিকের ময়না তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আসলে তাদের এ কার্যক্রমের বৈধতা কি?
প্রশাসনের তদারকি না থাকায় যা ইচ্ছে তাই হচ্ছে ক্লিনিক গুলোতে এমনটাই দাবী করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।