রাসেল মাহামুদ পলাশবাড়ী প্রতিনিধি,
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নদ নদী গুলোতে নব্যতা , নদী ভাঙ্গন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটে সংস্কার অভাবে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অপরদিকে উপজেলার বড় শিমুলতলা, দিঘকান্দি, নেকটগাড়ী, চেরেঙ্গা, শিশুদহ এলাকাসহ একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পারের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো পুরোপুরি অকেজো হয়েছে পড়েছে। যে গুলো দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ৷
উপজেলার মোট আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার এ উপজেলায় ২ টি নদ নদী রয়েছে আখিরা নদী স্থানীয় ভাবে যার নাম দুটিতে পরিচিত এর একস্থানে নাম মর্চ নদী অন্যস্থানে নামটি হলো নলেয়া নদী। এ নদটির নব্যতার কারণে নিজের গতি হারিয়ে ফেলেছে, নদ হতে আবাদী জমি গ্রাস করে বিলে রুপ নিয়েছে অপরদিকে এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ আবাদী জমি গুলো সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার এ নদটি দ্রুত খনন করে নব্যতা দুর করণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। এছাড়াও করতোয়া নদী উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ১ নং কিশোরগাড়ী ও ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ দুইটি ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলোতে ছোট বড় ভাঙ্গন,নদী ও নদীপারের জমি হতে মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টর, ট্রলি,ভেকু ও জ্যাম ট্রাক চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এসব বাঁধ দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষাকালে বন্যায় ফসলি জমি ও বসতবাড়ীসহ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মাহবুবর রহমান জানান,করতোয়া নদী ও আখিড়া নদ নিয়ে স্ট্যাডি চলছে, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রকল্প গ্রহন করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, উপজেলার করতোয়া নদীর ভাঙ্গন ,নদ গুলোর নব্যতা রোধে খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার বিষয়ে জেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ হতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন । উপজেলার চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এবং বর্ষার আগেই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এর বাকি অংশে দ্রুত এ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। উক্ত নদ নদী গুলো দ্রুত খনন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
পলাশবাড়ী উপজেলার নদ ও নদী পারের স্থানীয় ভোক্তভোগী জনসাধারণ ,উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ ও নদী নব্যতা ও ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ,স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।