পলাশবাড়ী প্রতিনিধি,মোঃরাসেল মাহামুদ:
পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ফরকান্দাপুর মাজারের পাশে অবস্থিত আশ্রয়ণ বাসিন্দার এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের হায়দার আলী নামে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে
হায়দার আলী ফারকান্দাপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরকান্দাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে ইউপি রাস্তার ব্রীজের উপর শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে পড়নের কাপড় খুলে শরীরের উপরে দমাদমি করে এবং মুখ চিপে ধরে জোড় পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এরপর শিশুটি বাড়ীতে ফিরে তার পরিবারকে এ ঘটনাটি খুলে বললে এক কান দুই কান করে প্রথমে আশ্রয়নের অন্যান্য বাসিন্দা ও পরে গ্রামের সবার কানে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর হতে অভিযুক্ত হায়দার আলী পলাতক রয়েছে। তবে এঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ও আপোষ মীমাংসার জন্য শিশুটির পরিবারের উপর
সামাজিক ও মানুষিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে হায়দার আলীর পরিবারের লোকজন।
অভিযুক্ত হায়দার আলীর বসত বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে বাড়ীতে থাকা তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা দাবী করেন, হায়দার আলী আজ সকালে মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গেছেন। লোকমুখে রটানো এ ঘটনাটি মিথ্যা এবং সাজানো। তবে শিশু কন্যার দরিদ্র মা দাবী করেন, আমার মেয়ের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে আর কোন মায়ের সন্তানের সাথে এমন
ন্যাক্কারজনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য হায়দার আলীর শাস্তি চাই। আমার স্বামী বাড়ীতে না থাকায় আমরা এখনো থানায় অভিযোগ করিনি। আমার স্বামী আসলেই আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নারীরা জানান, লম্পট হায়দার আলীর বয়স্ক ব্যক্তি হলেও তার চরিত্র খারাপ ও স্থানীয় ছোট বড় নারীদের সামনে সব সময় যৌন হয়রানী মুলক আচার আচরণ করে থাকেন বলে দাবী করেন তারা। এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনর্চাজ তদন্ত দীবাকর অধিকারী জানান, এ বিষয়টি জানা নাই বা এ ঘটনার এখনো কোন অভিযোগ থানায় কেউ করেনি।