মো:ইসমাইল —
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি —
নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বেশ কিছু দিন ধরেই সবজির বাজার রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাছ-মাংসের দামও লাগামহীন। কয়েক দিনের জন্য কিছুটা কম দামে বিক্রি হয়ে আবার চলে যায় উচ্চ মূল্যে। কাঁচাবাজার কিছুতেই আসছে না সাধারণ মানুষের নাগালে।–
চৌমুহনী বাজার,সোনাইমুড়ী, সেনবাগ উপজেলাসহ নোয়াখালী সবগুলো উপজেলায় মাছ-মাংশে হাত দিতে পারেন না অনেক সাধারণ ক্রেতা। সবজির বাজারও চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। নোয়াখালীর বাজার গুলোতে ৯০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। ব্যতিক্রম পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। বরবটি, টমেটোর দাম এখন ১০০ টাকা। এছাড়া সেঞ্চুরি করে প্রতি কেজি গাজর এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।–
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।–
মঙ্গলবারের বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যার মধ্যে লম্বাকৃতির বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকায় এবং ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।–
বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলতে পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মূলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা আর কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।–
বাজারে আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।–
কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না, সবজির বাজার। টানা ৩ সপ্তাহ ধরে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার উপরে। যা এ সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে। ফলে ক্রেতা অস্বস্তি চরমে ঠেকেছে। বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত বাজার চড়াই থাকবে। এদিকে দাম বেঁধে দেওয়ার এক মাস পার হলেও বাজারে কার্যকর হয়নি তিন পণ্যের দাম, উল্টো দাম বেড়েই চলছে আলু ও পেঁয়াজের।–