আল আমিন, যবিপ্রবি প্রতিনিধি
সম্প্রতি জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। আজ বিকেলে সভাপতি অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ এবং সাধারণ সম্পাদক ড. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশন সংক্রান্ত একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারি করে (এস.আর.ও নং-৪৭-আইন/২০২৪) যেখানে বলা হয়েছে “সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রয়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল”। এমন একটি বৈষম্যমূলক ও দুরভিসন্ধিমূলক প্রজ্ঞাপন জারির ফলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে। যবিপ্রবি শিক্ষক ও ও গবেষক পরিবার মনে করে এ প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে শিক্ষা ও গবেষণাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এবং শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন।
এই প্রজ্ঞাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাদর্শনের প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শন করা হয়েছে বলে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে। শিক্ষক ও গবেষকদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতা ও গবেষণায় আসতে আগ্রহী হবেন না এবং এর ফলস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে। নিকট অতীতে ও বিদ্যমান বেতন স্কেল থেকে অবনমনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সুরাহা হয়েছিল।
যে মুহূর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এসে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজও তাঁর উন্নয়ন যাত্রায় বিপুল উৎসাহ নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শিক্ষকদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার পুরনো কৌশল শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা ও অসন্তুষ্টি লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।