মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ধামুরহাট কৈগ্রামে এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বসতবাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা হামলা চালায় প্রতিবেশী এক পরিবার সেই সাথে সোনার গয়না সহ নগদ অর্থ লুটকরে l এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোছা.উম্মে হাবিবা(২৯)বাদী হইয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে lসেখানে উল্লেখিত বিবাদীগণরা হলেন,১নং.মো:এনামুল হক(৪৩) পিত,তসলিম উদ্দিন ২নং.মো:সাজু (২০) পিত,এনামুল হক ৩নং মোছা:সাহিদা বেগম(৪০)স্বামী,মো:এনামুল হক। উভয়ের সাং,কৈগ্রাম ৪ নং ইউপি থানা ধামুইরহাট জেলা নওগাঁ l
নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার ৪ নং উমার ইউপি অধীন কৈগ্রামে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সময় আনুমানিক ৬:৩০পি.এম এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে l
বিশেষ তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১নং বিবাদী এনামুল হক(৪৩)গংরা হাতে দেশীয় অস্ত্র লোহার রোড,হাসুয়া,বাশের লাঠি, লইয়া বাদী মোছা: উম্মে হাবিবা(২৯)সহ তার পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দেকে উল্লেখ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে এক পর্যায়ে বাদীনি গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদী গণরা আরো চরম পর্যায়ে উত্তেজিত হইয়া উম্মে হাবিবার বসতবাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিয়া এনামুল হক এর ছেলে ২নং বিবাদী মোঃ সাজু(২০)তার হাতে থাকা বাসের লাঠি দিয়া বাদিনীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তাতে তার বাম হাত ভেঙে যায় (এক্সরে রেজালটে) এসেছে পরে আরো উত্তেজিত হইয়া ১ নং বিবাদীর হাতে থাকা হাসুহা দিয়ে বাদী উম্মে হাবিবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাই কোপ মারলে,সেটাকে হাবিবা হাত দ্বারা প্রতিহত করলে তার ডান হাতের কুনূর নিচে ২ ইঞ্চি ডিপ হয়ে মারাত্মক জখম হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে এবং মাটিতে লুটিয়া পরলে বিবাদী উম্মে হাবিবার গলায় থাকা সোনার চেন(মূল্য:এক লক্ষ টাকা) ছিনিয়া লই এবং তৎক্ষণাৎ ২নং বিবাদী ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া আলমারির চাবি ভাঙ্গিয়া এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ অর্থ চুরি করিয়া লই l বাদিনী চিৎকার করে ডাকাডাকি করিলে সাক্ষী ১নং মোছা:নাজমুন নাহার স্বামী সাদিকুল ইসলাম ২নং,নুরুল ইসলাম পিতা মৃত ফজলুর রহমান 3নং,জোছনা বেগম.স্বামী শরিফুল ইসলাম উভয়ের সাং,কৈগ্রাম ৪ নং ইউপি থানা,ধামুইরহাট জেলা,নওগাঁ তাৎক্ষণিক আসিয়া তাকে রক্ষা করে এবং সাক্ষী গণের সামনেই বিভিন্নভাবে গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে চলিয়া যাই সেই সাথে আহত বাদিনীকে লইয়া ইজি বাইক করে ধামুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি গুরুতর দেখিয়া জয়পুরহাটে নিয়ে যেতে বলেন পরবর্তীতে জয়পুরহাটে নিয়ে চিকিৎসা করে এবং বর্তমানে ধামইরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানা যায় যা উক্ত বিষয়াদি থানায় দায়ের কৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হইয়াছে
এ বিষয়ে ধামুইরহাট থানার ওসি বলেন,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিপক্ষে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।