মোঃফাহিম হোসাইন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
এবার ঠাকুরগাঁওয়ে দুই সাংবাদিক ও ৩৫জন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর নামে হত্যার চেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার চেষ্টা ও বিস্ফোরখ দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানান বাদীর আইনজীবী জান্নাতুল ফিরদাউস লিলন।
মামলাটি করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মো. তাজেলের ছেলে মামুন ইসলাম (১৯)।
ঠাকুরগাঁওয়ের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ সরকার মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং বিচারক ‘মামলাটি তদন্ত করে’ তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটোকে প্রধান আসামী করে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
এরমধ্যে মামলার ৩০ নম্বর আসামী হিসেবে ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও যমুনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস এবং মামলার ৩৪ নম্বর আসামী হিসেবে ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দেশ টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি শাকিল আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়। এই দুইজন সাংবাদিক ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সদস্য পদে রয়েছেন।
রাজনৈতিক এই মামলায় দুই সাংবাদিকদের নাম দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক মহল।
তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ইসলাম শান্ত বলেন, রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের নাম কেন দেওয়া হবে; সাংবাদিকরা তো কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী নয়। গণমাধ্যমকে বাকরুদ্ধ করার জন্যই রাজনৈতিক এই মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। অবিলম্বে এই মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
গণমাধ্যমকর্মীরা মনে করেন- একটি মহল গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হরণ করতে এরকম কাজ করছে বলে মনে করেন সাংবাদিকরা। অবিলম্বে মামলা থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারের দাবি করে ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক মহল।