ছাএকে শাসন করায় শিক্ষক পুরষ্কার হিসাবে পেলেন ছাএ ও অভিভাবকের মারধোর

 

ইস্রাফিল খান গোপালগঞ্জ জেলাপ্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ছাত্রকে শাসন করায় বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থী ও তাঁর অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই শিক্ষককে রক্ষা করতে গিয়ে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।মারধরের শিকার বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস হিজলবাড়ী বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত পিতাশ হালদার ওই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানায়, দশম শ্রেণির ছাত্র পিতাশ হালদার স্কুল ড্রেস না পরে বিদ্যালয়ে আসায় প্রধান শিক্ষক তাকে শাসন করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতাশ বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে চলে যায়।বিদ্যালয় ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে পিতাশ ও তার অভিভাবকরা শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাঁদেরকেও মারধর করে।
তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, শিক্ষক উত্তম অধিকারী, ল্যাব অপারেটর সুদেপ অধিকারী, কর্মচারী জয় সেন ও বুলেট দত্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ছাত্র ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তাঁরা দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
বিদ্যালয়টির বাংলা বিষয়ের শিক্ষক স্বপন রায় বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করায় এভাবে মারধরের শিকার হলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিষয়ে পিতাশ হালদারের বাবা পঙ্কশ হালদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত।

আমি সকল শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাই।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ অন্য রোগীদের শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *