গৃহবধূকে ভগ্নিপতির ধর্ষণের চেষ্টা

নিউজ ডেক্স :

বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি এলাকার ৩ বছরের কন্যা শিশু তাইফা ও প্রতিবেশি হাফিজুর নামে ১৩ বছরের আরেক শিশুকে সঙ্গে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন গৃহবধূ রিগান আক্তার।
এ সময় কৌশলে ঘরে ঢুকে রিগানকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তার ভগ্নিপতি ইলিয়াস। এতে বাঁধা দিলে দুই শিশুসহ গৃহবধূটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় সে।

 

বরগুনা জেলার সদর থানাধীন ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব গুদিঘাটা সাকিনে মৃত খলিল হাওলাদারের বসতঘরে রাত্র ০০ঃ২০ হইতে ০৪ঃ০০ ঘটিকার মধ্যে আসামি মোঃ ইলিয়াস পাহলান (৩২) ধারালো বাংলা দা দিয়ে কুপিয়ে হাফিজুর (১০) নামের এক শিশুকে হত্যা এবং রিগান (২৮) ও তার শিশুকণ্যা তাইফা (৩) দের গুরুতর জখম করে।
সংবাদ প্রাপ্তির পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম রিগান ও তার শিশু সন্তান তাইফা কে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু ভিকটিম তাইফাও মারা যায়।

অতঃপর সকাল ০৯ঃ৩০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আবদুস ছালাম মহোদয় উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, ভিকটিম রিগান কে তার ভগ্নিপতি ইলিয়াস দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গতরাতে আসামী ইলিয়াস অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম রিগানের নিজ বাবার বাড়িতে প্রবেশ করে। এমতাবস্থায় ভিকটিম বাধা দিলে ভিকটিমের ঘরে থাকা দা দিয়ে আসামী ইলিয়াস হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ও উপুর্যুপরি কুপিয়ে শিশু হাফিজুর কে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে এবং রিগান ও তার শিশুকণ্যা তাইফাকে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে ভিকটিম তাইফাও মারা যায়। পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মহোদয় ভিকটিমের পরিবারবর্গ, স্থানীয় নিরপেক্ষ লোকজন এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ আব্দুল হালিম, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মহোদয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনায় প্রদান করেন এবং ঘটনার সার্বিক রহস্য উদঘাটনে শতভাগ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *