কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বৃদ্ধি ও নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ।

বিপুল রায়- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়িঢলে হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার ১৬ টি নদ নদীর পানি। জেলার সবকয়টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার এরে মধ্যে তলিয়ে গেছে ৩০০ হেক্টর জমির আমন ফসল। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, এবং ধরলা, দুধকুমর,ব্রক্ষপুত্র, গঙ্গাধরসহ সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি এবং পানি বৃদ্ধির সাথে নদীভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের শতশত পরিবার।

রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি এবং নদী ভাঙ্গনে বিপাকে পড়ছে নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো,অন্যদিকে দুধকুমর,গঙ্গাধর নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগেশ্বরীর কালীগঞ্জ, নুনখাওয়া ইউনিয়নেের চরাঞ্চলে ঢুকছে পানি ইতিমধ্যেই কয়েকশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় তীব্র স্রোতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাটে তিস্তার বাম তীরের স্পার বাঁধের একাধিক স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধের আরসিসি অংশের প্রান্তভাগ শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নদীতে ধসে গেছে। এতে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে তিস্তা পাড়ের শত শত পরিবার।

 

তিস্তার স্রোতে বাঁধের মধ্যবর্তী মাটির অংশ ধসে বিশালাকার গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধটির পশ্চিম প্রান্তের আরসিসি অংশের শীর্ষভাগ তীব্র স্রোতে দক্ষিণ দিকে সামান্য হেলে পড়েছে। বাঁধটি রক্ষায় এর উভয় পাশে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলছেন পাউবোর কর্মীরা। ঝুঁকি এড়াতে বাঁধের প্রবেশমুখে বাঁশের খুঁটি দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেছে পাউবো।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, স্পার বাঁধ মূলত নদীর স্রোতকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফলে বাঁধের উজান ও ভাটিতে ভাঙন কম হয়। বুড়িরহাটের বাঁধটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলা হচ্ছে। বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাউবো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *