বিপুল রায় -কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কষ্টযোদ্ধার আরেক নাম জাহেরা বেগম পায়নি কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা এমনই করুণচিত্র ফুটে উঠেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের জাহেরা বেগমের সংসারে। ৪০ বছরের সংসার জিবনে চলতে গিয়ে অনেক কষ্ট করে চলেছেন তিনি, স্বামী না থাকায় জাহেরা বেগম হাল ধরেছেন সংসারের।
নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের বলদেরভিটা গ্রামে কষ্টের সঙ্গে লড়ে খুপড়ি করে বসবাস করতেচেন জাহেরা বেগম,তার দুই ছেলে সন্তান থাকলেও খোঁজ খবর নেয়না মায়ের দীর্ঘদিন ঢাকায় থেকে সেখানেই বিয়ে করে অবস্থান করছেন এতে টাকা উপার্জনের কোনো উপায় না থাকায় নিজেরো বয়স হওয়ায় কাজ না পাওয়ায় জাহেরা বেগমের চাপাকষ্ট কান্না জেনো দ্বিগুণ বেড়েছে।
জাহেরা বেগমের অভিযোগ অনেক আগেই স্বামী ছেড়ে গেছে অনেক কষ্ট করে দুই সন্তান মানুষ করেছি কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা কিছুই পায়নি একবার ৪০ দিনের কর্মসূচির মাটিকাটার নাম পাইছি তাও এখন নাই, মোর নাই বয়স্ক ভাতা, নাই কোনো অনুদান খুব কষ্টে আছি যদি সরকার থেকে সহযোগিতা করে বা চোখ তুলি দেখে তাহলে মোর কষ্ট ঘুচবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আসলেই একজন কষ্টযোদ্ধা জাহেরা বেগম নেই ঘরের চাল বৃষ্টিতে সারারাত ভিজে থাকতে হয়, ঘরের বেড়া থাকলে একপাক থেকে আরেক দিক সবই দেখা যায়। প্রতিবেশি আব্দুর রহমান (৬৫) জানান সে অনেক দিন থেকে কষ্ট করে চলেছে স্বামী নাই ছেলে দেখে না টাকা কামাই করার কোনে উপায় নেই সরকার থেকে একটা যদি ঘর তুলে দেয় তাহলে হয়তো কষ্ট কমবে আমরা দেখি এত চেয়ারম্যান আসে তাকে কেউ চোখে দেখেনা কোনো ভাতা কিছুই দেয়না,আরেক প্রতিবেশি বসির উদ্দিন (৬০) জানান জানান সে আসলেই গরীব তাকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা দরকার তাকে একটা ঘর দেওয়া উচিত।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি জাহেরা বেগম সরকারি সুযোগ সুবিধা কিছুই পায়নি, তাকে সরকারিভাবে সুবিধা দেওয়া উচিত, সে হতদরিদ্র সে পাওয়ার যোগ্য, তাকে আশ্রয়প্রকল্পের ঘর দেওয়া উচিত সেটাও জাহেরা বেগম পায়নি। তারা আরো জানান সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নিতে গেলে গুনতে হয় ঘুষের টাকা সেই সামর্থ্য /টাকা না থাকায় হয়তো সব সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত জাহেরা বেগম। এলাকার সচেতন মহলের জোরালো দাবি উপজেলা প্রশাসন যদি সরকারিভাবে সহযোগিতা করে এই অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ায় তাহলে খুবই উপকৃত হবে জাহেরা বেগমের পরিবার।