এতো নির্লজ্জ চরিত্র হরণের রাজনীতি শুধু আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব

এতো নির্লজ্জ চরিত্র হরণের রাজনীতি শুধু আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব

সুনামগন্জ প্রতিনিধি :
সরকার বিরোধী আন্দোলনের রাজনৈতিক নেতারা আজ অনেক জনপ্রিয়। নিপীড়িত নিষ্পেষিত অধিকার বঞ্চিত মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। যে স্বাধীন গণতন্ত্র ভোটাধিকারের জন্য দেশ স্বাধীন হলো, সেই স্বাধীনতা কি আজ দেশের কোথাও আছে? নির্লজ্জ বেহায়া বিবেকহীনরা আজ দেশ চালাচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার আইন শৃঙ্খলা, বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছে। বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গুম খুন মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় ২৮শে জুলাই, এবং ২৮ শে অক্টোবর ২০২৩ইং ঢাকায় স্মরণ কালের মহা সমাবেশে শত ষড়যন্ত্র চক্রান্ত মোকাবিলা করে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রমান করেছে, এদেশের মানুষ বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। মহা সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখে অবৈধ সরকারের মসনদ যখন কেঁপে উঠেছিল। সরকার আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়েছ, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের জন্য দেশবাসী আজকে ঐক্যবদ্ধ। জনতার বিজয় যখন অতি সন্নিকটে, তখন-ই সরকার নিকৃষ্ট মানের নাটক দেশবাসীকে উপস্থাপন করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশের যে কয়জন নেতা সাধারণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় তাদের মধ্যে অন্যতম জনাব গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে প্রথমে গ্রেফতার দেখিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে খাবার পরিবেশনের নামে তার অতি উচ্চ ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করতে চেষ্টা করে। এবং আমান উল্লা আমানকে অসুস্থতার অজুহাতে খোঁজখবর নেওয়ার নামে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুল ফল পৌঁছে দিয়ে ভিডিও করে দলের নেতাকর্মীদের কাছে সরকারের দালাল তকমা দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গিয়ে উল্টো সরকার দেশ বিদেশে তাদের নির্লজ্জ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়ে, ধিকৃত হয়েছিল।
এমনিই করে ১৯৭৩ সালে দূর্ভিক্ষের করালগ্রাসে জাতি যখন নিমজ্জিত হতে চলেছে তখন মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাসানী হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার রাজপথে ভুখা মিছিলের আয়োজন করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান তখন মাওলানা ভাসানীকে আমন্ত্রণ জানালেন গণ ভবনে। মাওলানা ভাসানী মনে করলেন শেখ মুজিবুর রহমান হয়তো তাদের যৌক্তিক আন্দোলন মেনে নিয়ে সমঝোতায় করতে চাইছেন, সেই আকাঙ্খা নিয়ে ভাসানী সাহেব গেলেন দেখা করতে। শেখ সাহেব মাওলানা ভাসানী সাহেবকে অনুরোধ করলেন খাবার টেবিলে বসে আলোচনা করি। টেবিলে অনেক প্রকারের খাবার সাজিয়ে আগে থেকেই রাখা হয়েছিল। কথা বলতে শুরু করলেন মাওলানা ভাসানী সাহেবের সাথে, অতি কৌশলে শেখ মুজিবুর রহমান খাবার টেবিলে বাহারি খাবারের সাথে মাওলানা ভাসানীর ছবি তুলে রাখলেন। ছবি তুলার পর বললেন দেখেন চাচা আপনি জনগণ নিয়ে ভুখা মিছিল করবেন খালি প্লেট নিয়ে রাস্তায়, সেই জনগণ যদি দেখে আপনি আমার সাথে মজাদার বাহারি খাবার খাচ্ছেন এক টেবিলে বসে। আপনার ইজ্জত কি থাকবে? মাওলানা ভাসানীকে শেখ সাহেব বললেন আপনার ভুখা মিছিল বন্ধ করুন, নয়তো এই ছবি ছাপা হবে পত্রিকায়। এমন সুকৌশলের আয়োজন দেখে মাওলানা ভাসানী কিংকতর্ব্যবিমুড়, তিনি তখন শুধু বলেছিলেন মজিবুর তুমি আমার সাথে বেঈমানী করলি।
এরকম একটি চরিত্র হননের নেক্কারজনক ঘটনা ২৯ শে জুলাই ২০২৩ সালে জাতি খুব মজা করে উপভোগ করেছে।
আওয়ামী লীগ যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। চরম ঘৃনা ভরে দেশের জনগণ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। নির্বাচন হয়েছে ডামি একদলীয় ভোটার বিহীন, একজন শেখ হাসিনার ইচ্ছাতেই হয়েছে নির্বাচনের ফলাফল।
গণতন্ত্র মানবাধিকার তামাদি করে এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না। সরকার পরিবর্তনের দাবী আজ গণ দাবীতে পরিনত হয়েছে। পরিবর্তন অবশ্যসম্ভাবী। বিপ্লব উভূত্থানের সমস্ত আবহ তৈরি হয়ে আছে সমগ্র দেশব্যাপী। নিশ্চয়ই জনগণের ধৈর্যের বাঁধ একদিন ভাঙবেই। সময়ই বলে দিবে কার পতন কিভাবে হবে। ইতিহাস বলে জনগণের বিজয়োল্লাসে স্বৈরাচারী সরকারের পতন একদিন হবেই হবে।

লেখকঃ মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান
উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদ,ছাতক সুনামগঞ্জ।
যুগ্ম সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *