পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো
নানা চড়া উচড়াই পেরিয়ে একজন মানবিক নেতা হিসেবে গড়ে উঠেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহা.আসাদুজ্জামান আসাদ। র্দীঘ ৪৫ বছরের রাজনীতির জীবনটা শুরু করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণের মধ্য দিয়ে।দেশের যেকোন জনদুর্ভোগ কিংবা মানবিক বিপর্যয়ে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে ছুটে চলা একজন মানবতার আগ্রদূত তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে জোরালো ভাবে মাঠে রয়েছেন মোহা.আসাদুজ্জামান আসাদ।ছাত্রজীবন থেকেই অসহায় বিপর্যন্ত মানুষের সেবাই নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের অন্যান্য নজির তিনি স্থাপন করেছেন।মানুষের প্রয়োজনে রাজশাহীর অলি-গলি,পাড়া-মহল্লায় দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে।নিজের পরিবার-পরিজন অপেক্ষা করে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় মানুষের কল্যাণে।রাজশাহী ৩ পবা মোহনপুর আসনের উপ নির্বাচনে এমন একজন নেতার মনোনয়নে ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।একদিকে আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন অন্যদিকে আসাদুজ্জামান আসাদের মতো একজন মানবিক নেতার মনোনয়নের ফলে এই আসনে নৌকার বিজয় খুব সহজেই হবে বলেও মনে করেছেন স্থানীয়’রা।সাধারণ মানুষ মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান।
জন-দরদী এই রাজনৈতিক ব্যক্তি তার রাজনৈতিক জীবনের প্রতি পদে পদেই পেয়েছে অসংখ্য বাধা।এরপরও দুর্বার আওয়ামী লীগেরকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি কেহই। এরপরও পেয়েছেন সকল শ্রেনীর মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা।বর্ণাঢ্য তার আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক জীবন শিশু থেকে বৃদ্ধ রাজশাহীর সকলেরই জানা।দলের সকল পর্যায়ের নেতা ও কর্মীদের কাছে আসাদুজ্জামান আসাদ একজন সৎ,যোগ্য,শিক্ষিত,বিচক্ষন,ত্যা গী পরিশ্রম নেতা হিসেবে পরিচিত। বিগত দিনের বিভিন্ন নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা য়ায ভোটের রাজনীতিতে রাজশাহীর অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছেন আসাদুজ্জামান আসাদ।জেলার তাকে সবাই জনবান্ধন মানবিক নেতা হিসেবে চিনেন। সকলের সাথে সদালাপি এবং সুখে দুঃখে সব সময় সকলের পাশে থাকেন।যে কোন সময় দলের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন এবং খোঁজ খবর রাখেন।হাজারে মানুষের ভালোবাসার সিক্ত জনবান্ধন ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং সমাজ সেবক হিসাবেই পরিচিত রাজশাহীর সর্ব অঙ্গনে। মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ শিক্ষা জীবন থেকে সম্পৃক্ত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে। তিনি নির্বাচিত হলে জনগণের কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্ত আরো সহজ হবে বলেও মনে করেছেন স্থানীয়রা।
মোহা.আসাদুজ্জামান আসাদের রাজনীতি :১৯৭৮ সালে ছাএলীগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের সাথে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৮৪-১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাএলীগ রাজশাহী মহানগরীর ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়।১৯৮৫-১৯৮৭ রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের ছাএলীগের সভাপতি,১৯৮৮-১৯৮৯ রাজশাহী মহানগর ছাএলীগের সাধারণ সম্পাদক,১৯৯০ এর ছাএ সংগ্রাম পরিষদ ও পরবর্তীতে সর্বদলীয় ছাএ ঐক্য পরিষদ গণআন্দোলনের সমন্বয়ক,১৯৯০-১৯৯২ রাজশাহী মহানগর ছাএলীগের সভাপতি,১৯৯২ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজশাহী জেলার যুগ্ম আহবায়ক,
১৯৯২-১৯৯৭ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক,১৯৯৬ এর যুব সংগ্রাম পরিষদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনকে গতিশীল করতে যুব নেতৃত্ব দেন।১৯৯৭ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজশাহী জেলার আহবায়ক,১৯৯৭-২০০৩ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজশাহী জেলার সভাপতি,২০০৩ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,২০০৪-২০১৪ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,২০১৪-২০১৯ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নির্বাচিত হয়েছেন।এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অন্তর্ভূতি হয়ে আজ পয়ন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উপর অটল থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০০৪-
২০০৮-২০১৮ সালে রাজশাহী জেলার ৫ টি জাতীয় সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয়ক দায়িত্বে পালন করেন। একই ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দায়িত্বে পালন করেন।
আসাদুজ্জামান আসাদের সমাজ সেবা শিক্ষা-সামাজিক
সমূহ :রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক উপদেষ্টা,এফ.বি সি.সি.আই সদস্য জেনারেল বডি,রাজশাহী জেলার ক্রীড়া সংস্থা সাবেক সদস্য,দৈনিক বার্তা ট্রাস্টি বোর্ড সাবেক সদস্য,রাজশাহী প্রভাত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা,শহীদ কামরুজ্জামান মহাবিদ্যালয় রাজশাহীর প্রতিষ্ঠা কালীন সদস্য,বঙ্গবন্ধু কলেজ রাজশাহীর প্রতিষ্ঠা কালীন,লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা কালীন সদস্য,অগ্রণী ক্রীড়াচক্র রাজশাহীর প্রতিষ্ঠা কালীন সদস্য,রাজশাহী রোড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আজীবন সদস্য।
পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আসাদুজ্জামান আসাদের ভূমিকা :দেশরত্ন শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের পরের দিন ১৭-০৭-২০০৭ সালে রাজশাহী শহরে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে উত্তরাঅঞ্চলে প্রথম আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার দাবিতে ১১-০১-২০০৮ সালে রাজশাহী সাবেক ছাত্রনেতাদের স্বাক্ষরযুক্ত স্মারকলিপি তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের নিকট প্রদান করা হয়।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে রাজশাহীর ৬০০ জনের অধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষরযুক্ত স্মারকলিপি ০৪-০২-২০০৮ সালে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশে এটাই প্রথম ও স্মারকলিপি যার মূল নেতৃত্ব আসাদুজ্জামান আসাদ ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার ডিজিএফআই কতৃক আটক হয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন আসাদুজ্জামান আসাদ।
সর্বশেষ ২০০১ সালে আল-জাজীরা কৃতক শেখ হাসিনার লোক শিরোনামের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে তোমাদের প্রতিবাদে আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রথম “আমরা সবাই শেখ হাসিনার লোক” শিরোনামে ৪ ফেব্রুয়ারী রাজশাহীতে প্রতিবাদ মিছিল হয়।
এছাড়া সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়-প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া-প্রতিষ্ঠানের সংগে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে-মামলা, হয়রানি,কারাবরনসহ রাজনৈতিকে নির্যাতনের শিকার হন মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ।