নজরুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে জিনিয়াস স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড বিতরণ ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সেশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের (সিজেডএম) উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সিজেডএমের হেড অফ অফারেশন কাজী আহমেদ ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৭০০জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, জাকাত ইসলামের সুনির্দিষ্ট, অবশ্যকরণীয় বিধান। যা স্রষ্ঠাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যদি একটি সমাজে ভারসাম্যতা না থাকে তাহলে সেই সমাজ অসহিঞ্চু হয়ে পড়ে ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি, জাকাত সমাজকে ভারসাম্যহীনতা থেকে রক্ষা করে। যারা জাকাত দিচ্ছেন তারা দান করছেন বিষয়টি এরকম নয়। তারা ফরজ বিধান পালন করছেন। মনে রাখবেন আপনারা এখান থেকে যে টাকাটা পাচ্ছেন সেটা দানের টাকা পাচ্ছেন না বরং আপনার আপনাদের হকের টাকাটা নিচ্ছেন। বিষয়টিতে যেন কোন মানসিক দৈন্য কাজ না করে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে এ টাকাটা দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়া লেখাপড়া সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য। এ টাকা নিয়ে আমরা এমন মানুষ হবো, যেন আমরা এক সময় টাকা দেয়ার যোগ্য হয়ে উঠি এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকি।
পরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে রেপ্লিকা অ্যাওয়ার্ড বিতরণ ও লেটার প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর উপর দিকনির্দেশনামুলক আলোচনা করা হয়।