আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দুলু

মোঃ রেজাউল করিম

স্টাফ রিপোর্টার

বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, প্রথম স্বাধীনতার জন্য যদি জামায়াকে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য আওয়ামীলীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক।

বৃহস্পতিবার(৮ আগস্ট) দুপুরে শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে জেলা বিএনপির আয়োজনে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির নেতা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলু বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর নাটোরের মানুষ কথা বলতে পারেনি। নাটোরের সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ ধ্বংস হয়েছে। শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়ে গেল। ভোটারবিহীন সন্ত্রাসীদের হাসিনা এমপি বানিয়ে ছিল, তাদের কেও বিপদে রেখে গেছেন। এসব এমপিরা জনগণের টাকা মেরে বিশাল অট্রোলিকা বানিয়েছে। বিদেশে বাড়ি করেছে, তারা আজ দেশ থেকে পালিয়েছে।

দুলু বলেন, ১৫ বছর ধরে আমার ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে। আমি টাকা তুলতে পারি না, খরচ করতে পারি না। আমার নাটোরের মানুষ আমাকে চাল পাঠায়, মাছ পাঠায়, সবজি পাঠায় তা দিয়ে আমার চলে। আমি শেষ করতে পারি না। আর তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুট করা টাকা, চাকরি দেওয়ার নামে মেথরের টাকা, শিক্ষক নিয়োগের টাকা, জমির টাকা, চাঁদা তুলে টাকা নিয়ে বিদেশে বাড়ি কিনে। আমি বাবার জমিতে এমপি থাকা সময় সামান্য তিনতলার একটি বাড়ি বানিয়েছি।দুলু আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত দেশের স্বাভাবিক অবস্থা না ফিরবে আপনারা নেতাকর্মী মাঠে থাকবেন। নাটোরের কোনো মানুষের ওপর যেন নির্যাতন, অন্যায়, তাদের বাড়িঘর লুটপাট না হয় সেজন্য সজাগ থাকবেন। আমার নেতাকর্মীরা আপনারা হিন্দু ভাইদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য তাদের পাশে থাকবেন।

নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়া, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবি।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, নাটোর পৌর সভার সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন,

নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি,যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *