সাগর আহম্মেদ গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার সদর থানা পুলিশের সফল অভিযান চালিয়ে দাস্যুতায় লুন্ঠিত একটি ব্যাটারী চালিত মিশুক অটো উদ্ধারসহ ৪ জন কে গ্রেফতার করেছে। এ অভিযানের সার্বিক তথ্য তুলে ধরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে এক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রেস কনফারেন্সে উক্ত অভিযানের সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বি-সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মামুন,সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রেস কনফারেন্সে তথ্য সূত্রে জানা যায়,গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানার নেতৃত্বে রাত্রীকালীন কিলো-১ ডিউটি টিম গতকাল ৬ অক্টোবর রাত্রী ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় গাইবান্ধা সদর থানাধীন গোপালপুর বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে জগতরায় গোপালপুর গামী ফাঁকা রাস্তায় বর্ণিত আসামীগণ একটি ব্যাটারী চালিত মিশুক অটো দস্যুতা করিয়া পালাইয়া যাওয়ার সময় গাইবান্ধা সদরের মধ্যপাড়ার কায়ছার মিয়ার ছেলে ১। কল্লোব মিয়া (২০),মধ্যধানঘড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ২। আল আমিন মিয়া (২০), একই গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে ৩। আবীর মিয়া (২০), আশরাফুল আলমের ছেলে ৪। মোঃ নাজমুল হাসান বোনাস (১৯) দেরকে গ্রেফতার করে এবং তাদের হেফাজত হইতে লুন্ঠিত ব্যাটারী চালিত অটো মিশুক ও একটি ধারালো ছোরা, যাহাতে কাঠের বাট সংযুক্ত, লম্বা ২১ ইঞ্চি, প্রস্থ-২ ইঞ্চি উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে। এরআগে গ্রেফতারকৃত আসামীরা একই সাথে পরস্পর যোগসাজসে সন্ধ্যা অনুমানিক ৭ টা ১৫ মিনিটের সময় ফকিরপাড়া মোড় থেকে অটো মিশুকটি ভাড়া করে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নস্থ জগতরায় গোপালপুর নিয়ে যাইয়া একটি নির্জন স্থানে চালককে ধারালো চাকু দিয়ে মৃত্যুর ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া ও কিলঘুষি মারিয়া দস্যুতা করিয়া অটো মিশুকটি নিয়ে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। উক্ত ঘটনায় অন্য কেহ জড়িত আছে কিনা সেই ব্যাপার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় দস্যুতার একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।