কুড়িগ্রামে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

বিপুল রায়- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিসমূহ আদায়ে কুড়িগ্রাম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। দাবি মানা না হলে টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উলিপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শরীফুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আতাউল হক খান চৌধুরী, উলিপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু যোবায়ের আল মুকুল, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার সাহা, সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও উলিপুর সরকারি কলেজ সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্যবৃন্দ।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রংপুর সাংগঠনিক বিভাগের সদস্য ড. আবু নূর মো. আনিসুজ্জামান।

এসময় উল্লেখ করা হয়, শিক্ষায় জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য উপজেলা, জেলা ও অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর ও প্রকল্পসমূহ পরিচালনায় শিক্ষা ক্যাডারদের নিয়োগ প্রদান, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভূক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২টি পদ তফশীল বহির্ভূত করে নিয়োগবিধি চুড়ান্ত করা শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত হানা হয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই গত দু’বছর ধরে ৭ হাজার শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অধ্যাপক পদে ১২০০জন এবং সহযোগী অধ্যাপক পদে ৩হাজার জন ও সহকারি অধ্যাপক পদে ৩ হাজার জন পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন। শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে নানান অনিয়মের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পরছে। এই পুরাতন দাবিগুলো আদায়ে টানা কর্মসূচি ঘোষনা করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে দাবি মানা না হলে আগামি ২ অক্টোবর সারা দেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন, এরপর ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা ৩দিনের কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *