মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে নিয়ে গিয়ে এক নারীকে হোটেলে রেখে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কামরুজ্জামান বাহাদুর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে ভুক্তভোগী নারীর চাচা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান।
মামলার আসামী কামরুজ্জামান বাহাদুর উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুয়ারী জিয়াবাড়ী গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী (১৯)কে প্রথমে ঢাকায় এবং পরে কক্সবাজারে নিয়ে গিয়ে একাধিবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কক্সবাজার থেকে বাড়ীতে ফেরার পর ভুক্তভোগী ওই নারী যুবকের বাড়ীতে অবস্থান নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্রত্যাখান করে কামরুজ্জামান বাহাদুর। স্ত্রী ও মায়ের দ্বারা মারপিট করে তার বাড়ীতে বের করে দেওয়া হয় ভুক্তভোগী নারীকে। পরে তাকে উদ্ধার করে গতকাল মঙ্গলবার ভর্তি করা হয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এ ঘটনায় কামরুজ্জামান বাহাদুরের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বজনরা।
তবে ধর্ষণ ও মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করছেন কামরুজ্জামান বাহাদুর, তার স্ত্রী ও বাহাদুরের মা। কামরুজ্জামান বাহাদুর মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, এলাকায় সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত তিনি। তার গাড়ী-বাড়ী এবং টাকা পয়সা রয়েছে। এসব থেকে কিছু পেতে স্থানীয় কয়েকজন রং লাগিয়ে ঘটনা বানাচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কামরুজ্জামান বাহাদুরের বাড়ীতে গেলে তার মা ও স্ত্রী জানান, তাকে মারধর করা হয়নি। ভুক্তভোগী ওই নারী রাতে এসেছিলে। কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয়রা এসে তাকে নিয়ে গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, আদালত থেকে নির্দেশনা হাতে পৌছায়নি। পৌছালে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।