নাহিদ মিয়া,মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে “পরিবর্তনশীল সমাজ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতা প্রসার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে র্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাহাত বিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়, উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেনুমাধব রায়, পৌর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস -চেয়ারম্যান শ্রীদাম দাশ গুপ্ত, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ফারুক পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হাসানুজ্জামান ওসমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও নির্বাচন কমিশনার ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সাক্ষরতার বৃদ্ধির সাথে শিক্ষিত করে ও তুলতে হবে, যে জাতি যত শিক্ষিত সেই তত উন্নত। প্রতি বছর সাক্ষরতা হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ হয়েছে, শতভাগ সাক্ষরতা হার হলেই আমাদের ব্যবহারিক শিক্ষা আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সফলতা আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাহাত বিন বলেন, নিরক্ষর মুক্ত সমাজ গঠন করতে সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে শিক্ষার সম্পর্কে সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি বছর সাক্ষরতা হার বাড়ছে গত বছরের তুলনায় এ বছর দেড়গুণ সাক্ষরতার হার বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো স্লোগান ও গণশিক্ষার আসর এধরণের প্রক্রিয়ায় শিক্ষার দিকে শুরু করে আসছে বর্তমানে প্রতি বছর সাক্ষরতা হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরোও বই পড়ার দিকে আগ্রহ করে তোলার আহবান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান সাক্ষরতা দিবসে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সাক্ষরতা ও শিক্ষা দুটি বিষয় সাক্ষরতার মূল উদ্দেশ্য হলো মৌলিক শিক্ষা অর্জন করা। অধিক বয়সের লোককে সাক্ষর জ্ঞান অর্জন করতে হবে আর কম বয়সদের সাক্ষরতার সাথে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তবেই সব শ্রেণি পেশার মানুষ শিক্ষার গুরুত্ব জানতে পারবে।সকলকে আমরা বই পড়ার উদ্বুদ্ধ করতে হবে সেই সাথে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে বলে আহবান করেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ।