ইস্রাফিল খান, গোপালগঞ্জ(জেলা)প্রতিনিধি
সব কয়টি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে জীবনে চরম দুর্ভোগ বয়ে আনছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর তদারকির অভাব, আইন প্রতিপালন ও বাস্তবায়নের অভাব, জবাবদিহিতার অভাব, উদাসীনতা এবং প্রভাবশালীদের দখল ও ভরাট এবং জনগণের সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ খাল হারিয়ে গেছে। টিকে থাকা খালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নেই। নদীর সাথে সংযোগও প্রায় কাটা পড়ছে। যে যার খেয়ালখুশি মতো খাল বা জলাশয় ব্যবহার করছে।
অনেকেই বলছেন, দেশ এখন নদী-খাল বৈরী দেশে পরিণত হয়েছে। আর জলাবদ্ধ হয়ে এর পরিণতি ভোগ করছেন সাধারণ চাষিসহ গ্রামবাসীরা।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে পানিবন্দি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা ওঠে আসে। তারা জানান, বিদ্যমান খালগুলো দখলমুক্ত ও খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রমই জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে, শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা-রাধাগঞ্জ খালের ৮টি বাঁধ কেঁটে দিয়ে এক কিলোমিটার খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় খালের পাড়ে গড়ে ওঠা চারটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের চলমান কাজের অংশ হিসেবে কুশলা-রাধাগঞ্জ খালের ৮টি বাঁধ কেঁটে এক কিলোমিটার দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কোটালীপাড়া উপজেলার সকল খাল দখলমুক্ত করবো। সাথে সাথে সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার ডেইলি অবজারভারকে বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এর ব্যতিক্রম হবে না। কৃত্রিম ভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক, জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে বলে। লিখিত অভিযোগ পেলে ও অভিযোগের সত্যতা সরেজমিনে প্রমাণ পেলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো দখলবাজকে বরদাস্ত করা হবে না। জনগণের কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবকিছু করবে সরকার।