স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য নিরসনে সারাদেশের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন

আল আমিন, যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর সারাদিন ফিজিওথেরাপি পেশার শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে।

সারাদেশে ফিজিওথেরাপি পেশার শিক্ষার্থীরা দুইটি যৌক্তিক দাবী নিয়ে কর্মসূচি করেন।
১/ দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদ সৃষ্টি করতে হবে।
২/ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

ফিজিওথেরাপি পেশার শিক্ষার্থীরা গত এক মাস যাবৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত সাড়া না পেয়ে এমন অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদ(সফিশিপ)।

সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের ডাকে সাড়া দিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন সারাদেশের ফিজিওথেরাপি পেশার শিক্ষার্থীরা এবং কর্মরত পেশাজীবিরা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

সফিশিপ এর অন্যতম সমন্বয়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের শিক্ষার্থী আহমাদুল্লাহ হিল গালিব বলেন, ১৯৭২-৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রী শুরু হলেও, আজ পর্যন্ত সামরিক সময়ে সৃষ্টি হওয়া এনাম কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি সব ফাস্ট ক্লাস পোস্টে অন্য ডিসিপ্লিনের ডাক্তার রা নিয়োগ কিভাবে পায়? দেশের সব সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে আয়া বুয়া দিয়ে প্রকাশ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দেয়া হয়। মুখে আশ্বাস দিয়েও কোন প্রথম শ্রেনীর পদ গত ৩৫ বছরে সৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি এর জন্য বরাদ্ধকৃত মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর লোকজন ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছে। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল ২০১৮ সালে পাশ হলেও আজ পর্যন্ত পেশাজিবী থেকে রেজিস্ট্রার নিয়োগ হয়নি ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ও চিকিৎসা কেন্দ্রের কোন লাইসেন্স না দেয়ায় দেশে ৯০ ভাগ বেসরকারি ফিজিওথেরাপি সেন্টার ভুয়া। যার ফলে দেশের ১৫ ভাগ প্রতিবন্ধী ও প্রায় ৩০ ভাগ প্রতিবন্ধীতার ঝুকিতে থাকা মানুষ প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। পেশাজিবীরা গত ১৫ বছর ধরে ও ব্যাচেলর শিক্ষার্থীরা গত ১ মাস ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আলোচনার আহবান করে কিছুই না হওয়ায় আজ তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের দাবী
১) ৫ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের ১ম শ্রেণীতে সরকারি সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ
২) কলেজ অব ফিজিওথেরাপি এর জন্য বরাদ্ধকৃত জায়গায় বস্তি উচ্ছেদ করে কলেজ নির্মান।

ফিজিওথেরাপি পেশার শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন অংশ নেন মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী, অন্যতম সংগঠক কোটা সংস্কার আন্দোলন। ছাত্র প্রতিনিধি – স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সদস্য, মেডিকেল টিম – বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *