আবুবকর সম্পদ, জবি প্রতিনিধি :
জবির টিএসসি নামে খ্যাত চায়ের দোকান গুলোতে প্রায় ১৭ বছর পর সম্পূর্ণ রুপে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটক থেকে রাস্তা পেরুলেই দেখা মিলবে জবি টিএসসির। ক্লাস শুরুর আগে, ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা ক্লাস শেষ করে জবি শিক্ষার্থীরা দলে দলে জড়ো হন সেখানে। চায়ের কাপে উঠে খোশগল্প আড্ডা কিংবা আলাপচারিতার ঝর।
তবে টিএসসি খাবার তালিকার দাম যেন লাগামহীন ভাবে বাড়তেই ছিল। এক কাপ রং চা বাহিরে ৫/৬ টাকা রাখা হলেও টিএসসিতে এর দাম ছিল ১০ টাকা।
বাড়তি দাম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কর্তৃত্ত্ববাদী ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী দের ভয়ে দোকানিরা মুখ খুলেনি। ১৭ বছর পর ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের পতনের পর জবির টিএসসি তে খাবারের বাড়তি দাম কেন? সে সম্পর্কে মুখ খুতলে শুরু করেছে দোকানিরা।
দোকানিরা বলেন, ” টিএসসি তে থাকা সবগুলো দোকান বিশেষ করে চায়ের দোকান গুলো থেকে ২০০ এবং বড় ভাতের হোটেল গুলো থেকে ১৪০০ করে চাঁদা নিত।সব মিলিয়ে মাসে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার চাঁদা তুলতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এবং এই চাঁদার একটি অংশ নিত জবি শাখা ছাত্র লীগের সভাপতি ও আরেকটি অংশ যেত সাধারণ সম্পাদকের পকেটে।
জবির টিএসসির দোকানি রনি জানান, আমরা এতোদিন ভয়ে মুখ খুলিনি। আমাদের প্রতিটা দোকান থেকে চাঁদাবাজি করত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি আরও বলেন চাঁদা বাজি না থাকায় আমাদের বারতি টাকা দিতে হয় না। আমরা নিজেরা এখন সেভ থাকছি, ছাত্র মামাদেরও সেভ করছি।
টিএসসিতে অবস্থানরত আপর দোকানি সিরাজ বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা এখন সচেতন কেউ চাঁদাবাজি করতে আসলেও আমরা চাঁদা দিব না।
বর্তমানে জবির টিএসসিতে খাবারের দাম কমাতে খুশি শিক্ষার্থীরাও।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, আগে এক কাপ রং চা ছিল ১০ টাকা। যা বিলাসিতা মনে হতো। তবে বর্তমান দাম সহনীয় বলে জানান তিনি।
উল্লেখ জবির টিএসসিতে খাবারের দাম কমে বর্তমানে রাং চা ৬ টাকা, দুধ চা ৮ টা,কেক ১০ টাকা,বাটার বন ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দাম কমেছে তেলে ভাজা খাবার সমোচা সিংগাড়া ও ডিম চপের।