রাজশাহীতে ছাত্র পরিচয়ে দুই নারীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন- ২ দিনপর মামলা

০২-০৮-২০২৪

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনি এলাকায় দুই নারীকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী পরিচয়ে তাদের তুলে নিয়ে মারধর ও হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী এলে পালিয়ে যান তারা।

ঘটনাটি ঘটে গত (২৮ আগস্ট) বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনি এলাকায়। স্থানীয় একটি পরিবার ও ছাত্র আন্দোলনকারী পরিচয়ে আসা একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে ওই হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই ছাত্ররা গায়ে ট্রাফিক পুলিশের মতো কোটি পরে ছিলেন। বিষয়টি মীমাংসা করার অজুহাতে দুই দিন থানায় মামলা করতে দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনার সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও শিক্ষার্থী জড়িত নয়,বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলাটি করেন। এজাহারে তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন ওরফে শাপলা (৩২) ও তার ছোট ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তারকে (৩১) বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।

রফিকুল ইসলামের পরিবার মূলত ফরিদপুরের বাসিন্দা। ৪০ বছর ধরে ব্যবসায়িক সূত্রে তারা রাজশাহীতে থাকেন। নগরীর আসাম কলোনির একটি বাসার একাংশ কিনে ও একাংশ ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। বাসার মূল মালিক স্বপন হাসান (৩২)।

এই বাড়িতে হামলা করে ভুক্তভোগী দুই নারীকে দরজা-জানালা ভেঙে বাইরে এনে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে বাড়ির মূল মালিক স্বপনের ভাবি সোনিয়া খাতুনকেও (২৮) মারধর করা হয়। মামলার এজাহারে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগও করা হয়েছে।

মামলায় আসাম কলোনির বাসিন্দা শাহিন,তার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪২),১৬ বছরের এক কিশোরী এবং স্থানীয় বাসিন্দা মনিরের মেয়ে মুক্তার (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ছাত্র পরিচয়ে যারা হামলা করতে আসেন,তাদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন,ছাত্রদের ওরা তো পরিচয় পায়নি। তাই অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।

ঘটনার পর বাড়ির মালিক স্বপন হাসান জানান,এ ঘটনায় মামলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দুই ছাত্র ফোন করে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছিলেন।

সন্ধ্যায় তারা এসে সব শুনে বলেন,হামলাকারীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকারীদের কেউ নন। তারা (ভুক্তভোগী পরিবার) এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *