আমতলীতে অপহরণের দুইদিন পরে মাদ্রাসা ছাত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
মানাফি ইসলাম নাজমুল বার্তা সম্পাদক : মুক্তি পন না পেয়ে অপহরণের দুইদিন পরে বরগুনার আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামে তানজিলা নামের এক ষষ্ঠ শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীর হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেচানো মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। বুধবার দুপুরে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তানিজলা (১৩) তোফাজ্জেল খাঁনের কন্যা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তানজিলার চাচাতো ভাই হৃদয় খাঁনকে (১৮) পুলিশ আটক করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খাঁনের কন্যা তানজিলা সোমবার সকালে বাড়ীর সামনে বের হয়। এর সময় তানজিলাকে দুর্বৃত্বরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে হৃদয় মোবাইল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। বাবা তোফাজ্জেল খাঁন মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব হওয়ায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খাঁনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে দুইদিন পরে তানজিলার বাড়ীর সামনে খেতের মধ্যে বুধবার দুপুরে মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। হৃদয় শহীদুল খাঁনের ছেলে।
পুলিশ ওইদিন বিকেলে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। খবর পেয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, একটি মোবাইল ফোন থেকে আমার নিকট ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। আমি মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করায় আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হৃদয় খানকে আটক করা হয়। এ ঘটনার হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।