মোঃ সুমন প্রাং বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে প্রায় দ্বিগুণ সরিষার চাষ হয়েছে। অপরদিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষার চাষ হওয়ায় অর্ধেকে নেমেছে আলুর চাষাবাদ
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, গত বছর অত্র উপজেলায় সরিষার চাষাবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে সরিষার চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও গত বছর এখানে আলুর চাষাবাদ হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী জমিতে সরিষার চাষ হওয়ায় জমির স্বল্পতায় ১০ হাজার হেক্টর জমি থেকে কমে গিয়ে আলুর চাষ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
সূত্রমতে, ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে। আলুর চাষ কমে গেলেও মানুষের চাহিদার কোনই কমতি থাকবেনা।
করোনা ভাইরাস আর ইউক্রেণ-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যমুল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ভোজ্যতেলের মুল্য বৃদ্ধির কারনে সরিষা চাষের উপর বেশী জোড় দিয়েছে চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে মাঠের পর মাঠ শুধু সরিষার ক্ষেত। সরিষার গাছে ফোটা হলদে হলদে ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ চাষিরাসহ সব বয়সী মানুষ।প্রতিটি মাঠের এই সৌন্দর্যের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে চাষিদের আগামী দিনের স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এখানে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সরিষার তেল সরবরাহ করা যাবে অন্য এলাকায়। সরিষার উৎপাদন ভালো হলের চাষিদের পাশাপাশি অনেক মানুষেরই দুর হবে ভোজ্যতেলের অভাব।
উপজেলা কৃষি অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ভোজ্যতেলের অভাব দুর করতে ৬ মাস আগে কৃষি মন্ত্রনালয় নানামুখী প্রদক্ষেপ গ্রহন করে। সরকারি প্রণোদনা, বিনামুল্যে সার-বীজ প্রদান, স্বল্প সুদে কৃষি ঋন প্রদানসহ সরকারিভাবে বিভিন্ন সহযোগীতা করা হয় চাষিদের। যারফলে আমাদের ট্যার্গেটের চেয়ে বেশী সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কৃষি মন্ত্রনালয়ের টার্গেট রয়েছে সরিষার উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলে চাহিদা পুরুণ করার। সেই লক্ষ্য নিয়ে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পাশে থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।