সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নওগাঁয় সাংবাদিকদের মানববন্ধন।

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সান্তাহারে সংবাদ সংগ্রহের সময় যমুনা টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক শফিক ছোটনের সাথে জিআরপি থানার পুলিশ সদস্যদের অন্যায় আচরনের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে নওগাঁয়। ২৫ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১ টা থেকে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারের সামনে প্রধান সড়কের পাশে ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচী পালন করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে নেতৃত্বদেন সংগঠনের নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন – নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি নবির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রায়হান আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান জয়, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ হোসেন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নয়ন ও অন্যান্যরা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, রেলে নাশকতার অভিযোগে শুক্রবার ( ২২ ডিসেম্বর ) সান্তাহার জিআরপি পুলিশ জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর এলাকা থেকে ৩ যুবককে আটক করে। সেই সংবাদ সংগ্রহের জন্য জিআরপি থানায় যান যমুনা টেলিভেশনের নিজস্ব প্রতিবেদক শফিক ছোটন। তিনি জিআরপি থানার সামনে গিয়ে ছবি তোলার সময় লুঙ্গি ও গেঞ্জি পড়া কনষ্টেবল নূরুল ইসলাম প্রথমে ছবি তুলতে বাধা দেয়। এরপর কনস্টেবল নূরুল ইসলামসহ আরো দুই পুলিশ সদস্য মোট ৩ জন ছোটনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকরা ছুটে এসে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও টেলিভিশনে সাংবাদিক হেনস্তার খবর প্রচার হলে রেলওয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মমকর্তারা কনষ্টেবল নূরুল ইসলামসহ জড়িতদের প্রত্যাহার করে পাকশি রেল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে এখনও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি।
মানববন্ধনকারীরা বলেন- সাংবাদিক শফিক ছোটনকে হেনস্তার ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। কর্মসূচীতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে প্রতিবাদ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *