শহিদুল ইসলাম :ধনবাড়ী প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা হলো
কৃষিপ্রধান ও কৃষিনির্ভর একটি উপজেলা। এখানে কৃষকরা একটি জমিতে বছরে পর পর তিনটি ফসল উৎপাদন করেন। ধান, ভুট্টা, আলু, গমসহ সব ধরনের ফসল চাষে এই উপজেলা খ্যাত। তবে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ধান চাষের পর সরিষার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করা হয়েছে সরিষার। উপজেলার যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ। সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করে মধু সংগ্রহ করতে উড়তে দেখা যাচ্ছে মৌমাছিদের।
সরেজমিনে ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে দেখা গেছে, এবার ভুট্টা ও আলু চাষের পাশাপাশি সরিষা চাষও হয়েছে ব্যাপকহারে, যা আগে কোনোদিন দেখা যায়নি। ফলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ধনবাড়ী উপজেলার কয়েকজন সরিষা চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া ভালো থাকলে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৫ থেকে ৭ মণ করে সরিষার ফলন হয় এবং সরিষা চাষে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলে খরচের তুলনায় লাভ বেশি থাকায় সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
মুশুদ্দি ঝুপনা কাপাড়া গ্রামের সরিষা চাষি মো: জলিল ও সিরাজুল ইসলাম,সফিকুল জানান, এ বছর এ এলাকায় একেকজন চাষি সরিষা চাষ করেছেন ৫ থেকে ৬ বিঘা জমিতে। তুলনামূলক খরচও হয়েছে অনেক কম। তা ছাড়া সরিষা চাষে সেচ ও সার কম লাগে। অন্যদিকে ধান তোলার পর আগাম সরিষা চাষ করে আবার ধান চাষ করা যায়।
ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এত পরিমাণে সরিষার চাষ এর আগে কখনো হয়নি। গত বছর ৭৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। আর এ বছর ১২২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে, যা আগের তুলনায় বেশি। আমরা এ বছর প্রণোদনার আওতায় ৩০০০ জন।
প্রদর্শনী ও অন্যান্য বীজ সহায়তার আওতায় ১০০০ মোট ৪০০০ কৃষককে সরিষার বীজ বিনামূল্যে প্রদান করেছি। আশা করছি, সরিষা চাষ করে এ-ই বার কৃষক লাভবান হবেন এবং আগামীতে সরিষা চাষে আরও উৎসাহিত হবেন। তিনি আরো বলেন, ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি উপসহকারী দের নিয়ে ধনবাড়ী উপজেলায় ভোজ্য তেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।