সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
সহায় সম্পদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে সবার শীর্ষে আনিসুল হক। বাড়ি নেই ক্যাপ্টেন তাজের। তবে ওনার নগদ টাকা ও আয় বেড়েছে। হলফনামা বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এই চিত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়টি আসনের প্রার্থীদের হলফ নামা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেনের নগদ টাকার পরিমান ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬৫৫০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে নগদ আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র ও কোম্পানির শেয়ার নিজের নামে ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার চারশত ৬৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও বন্ড রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য খাতে তার বিনিয়োগ রয়েছে ৪১ লাখ ৩৬ হাজার সাতশত ৬৯ টাকা। গাড়ি আছে তার দুটি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ( সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু পড়াশোনায় এমবিএস (মাস্টার্স অফ বিজনেস স্টাডিজ) তার নিজের নামে নগদ টাকা রয়েছে ১২ লক্ষ ২২ হাজার ১৬৪ টাকা। তার স্ত্রীর নাম রয়েছে ২২ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৩২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমান ২লক্ষ ৯হাজার ৬৯৮ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র শেয়ার ও বিনিয়োগ ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। পোস্টাল – সেভিংস সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৪০ টাকা। আর তার ৩ লক্ষ টাকা দামের একটি গাড়ি রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ( সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরীর কৃষি খাত থেকে বাৎসরিক আয় তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ব্যবসায়ী খাত থেকে আয় ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা।
শেয়ার, সঞ্চয় পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। পেশা থেকে ২৫ লাখ ৫০ হাজার। সংসদ সদস্য হিসেবে আনুতোষিক পান ৬লাখ ৬০ হাজার। মৎস্য চাষ থেকে ৯ লাখ ৯০ হাজার। ব্যাংকের সুদ, টকশো ও সভা- সেমিনারের সম্মানি এবং কলাম লিখা টাকা থেকে আয় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫২০ টাকা। এবং করমুক্ত আয় ১৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৭০ টাকা। নিজ নামে রয়েছে নগদ টাকা ২০ লক্ষ । তার নিজের নামে ৮৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৬৬ টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে। এবং স্ত্রীর নামে ২৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ ( কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নগদ টাকা রয়েছে ১০ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ১৪০৯৩.৫৮ ইউ এস ডি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত ৬কোটি ৫৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৮৭টাকা । ৪০কোটি ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে। সঞ্চয় পত্র রয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৮ টাকার । ৫ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের চারটি মোটরগাড়ি ও একটি মোটর সাইকেল রয়েছে তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলের বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার। শেয়ার সঞ্চয় পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদ ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৪২৫ টাকা। চাকরি ও পরিচালক সম্মানি ৬০ লক্ষ টাকা। অন্যান্য ৯ লক্ষ ১হাজর ৮৩৫ টাকা। নিজের নামে নগদ রয়েছে ৩কোটি ৪৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। তার স্ত্রীর নামে ৪১লক্ষ ৪৫হাজার ৩০০ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৬৫ লাক ৪৭ হাজার ৪৮৪ টাকা রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৭লক্ষ ৩০ হাজার ১৬১ টাকা। ঢাকার নিকুঞ্জে ৪ কোটি ৬৮ লাক ১০ হাজার টাকা মূল্যের জমিসহ একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে।
এছাড়া নিজ নামে বনানীতে ১কোটি ৩৫ লক্ষ ৬৬হাজার টাকা মূল্যের তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট ও স্ত্রীর নামে ১৯ লাখ টাকার মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬ ( বান্চারামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম তাজের কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ১ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা। শেয়ার সঞ্চয় ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৫৭ টাকা। পেশা থেকে আয় ১৬ লাখ ৫০ হাজার ও চাকরি থেকে বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমান ২৪ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, শেয়ারে বিনিয়োগ ৩২ হাজার টাকা।
১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে তার। স্বর্ণ আছে ৫০ ভরি। কৃষি জমির পরিমাণ ২৫০ শতাংশ যা পৈতৃক সূত্রে তিনি পেয়েছেন। গুলশানে ৭কাঠা জমির বাড়ির উপর ৮তলা বাড়ি যা এক পুত্র ও দুই কন্যাকে হেবাহ ঘোষণা দিয়ে দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন।