হায়রে দ্রোহের ফিলিস্তিন!

বিনতে আব্দুল হালিম

ফিলিস্তিন!

হায়রে ফিলিস্তিন!
হায়রে নাস্তানাবুদ ফিলিস্তিন!
হায়রে অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিনের মুসলমান!
তোমাদের হৃদয় পোড়ার গন্ধে আমরাও অস্থির, অধীর বেকারার হই। তোমাদের বাস্তুচ্যুত করার সময় প্রতিবার আমরাও ভিটে মাটিহীন বাস্তুহারা হয়ে যাই।
তোমাদের শরীরে বিদ্ব হয়ে যাওয়া শত্রুর নিক্ষিপ্ত প্রতিটি স্প্লিন্টারের আঘাত আমাদের এফোঁড় ওফোঁড় জখম করে। প্রতিবার আমরাও হই আহত , রক্তক্ষরণ হয় আমাদের হৃদয়েও। তোমাদের শিশুদের নিষ্পাপ কচি দেহগুলো বুলেটের আঘাতে যখন ক্ষত- বিক্ষত হয়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়।
এবং ক্রোরে শোভাপায় নিথর-নিস্তব্দ্ধ কচি সোনা মুখ তখন আমাদের গ্রন্থীগুলোও বেমালুম ছিড়ে যায়। আমাদেরও হৃদয়ের গহীন
থেকে অস্ফুটে উচ্চারিত হয় তোমাদের মুক্তির শ্লোগান। আমিতো মিছিল দেখি লক্ষ কোটি মানুষের অজুত কন্ঠে গগন বিদারী শব্দে। মিছিলের পর মিছিল। আল আকসার পবিত্র প্রাঙ্গণে।
পৃথিবীর নিপীড়িত শোষিত সব বনি আদমের গণজমায়েত। লেজকাটা শেয়ালের দল আধুনিক শান্তি সমৃদ্ধির নতুন বসুধা গড়ার পথের কাটা।
দখলদার জারজ জাতির জারজ সন্তানের পালিয়ে যাওয়া প্রত্যক্ষ করা বড়ই উপভোগ্য লাগে আমার কাছে। ফিলিস্তিন নাম শুনলেই মানসপেটে ভেসে ওঠে বছরের পর বছর ধরে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও রক্তাক্ত জাতির ত্যাগের ইতিহাস। এক ভয়ডরহীন আত্মমর্যাদাশীল জাতি। এখানে লেখা আছে জানা অজানা হাজারো ভূমিষ্ট সন্তানদের বীরত্বগাথা।
তারা বুকের রক্ত দিয়ে লিখে যাচ্ছে সাহসিকতা ও বীরত্বের সব নতুন নতুন ইতিহাস। অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয় বীরত্ব ও মহান ত্যাগের বাস্তব দৃষ্টান্তের প্রতি। আমার সশ্রদ্ধ সালাম সকল নিপীড়িত জনগণের প্রতি। বিশেষ করে সেখানকার বীরপ্রসূ মায়ের জন্য। ধন্য সে সব ফিলিস্তিনের মায়েরা যারা এমন বীর সন্তানদের গর্ভে ধারণ করেছেন। তাদের স্বাধীনতার সূর্য ও পতাকার জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি। বন্ধ হোক পৃথিবীর সকল হিংসা বিদ্বেষ, হানাহানি আর রক্তপাত। মানুষ বেচে থাকুক তার মানবিক মর্যাদা নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *