“শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিতে রাজ পথে আন্দোলন ” বাংলাদেশের চার পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

নিজস্ব সংবাদ দাতা:

বাংলাদেশের বর্তমানের চারটি পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে যেখান থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট দেয়া হয়। তন্মধ্যে তিনটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এবং অন্যটি হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সমূহ হলোঃ
১. ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
২. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
৩. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি হলো- সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হলেও এদের প্রশাসনিক ক্ষমতা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।

গত মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একটি নোটিশের বিপরীতে আন্দোলনে নেমেছে এই চারটি পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নোটিশের ছবি নিচে দেওয়া হলোঃকারিগরি শিক্ষা বোর্ড চাচ্ছে এসব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ২০ শতাংশ পলিটেকনিক কোটা থাকবে। এবং শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ার দরুণ যে আসনসমূহ ফাঁকা হবে সেগুলোতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের দিয়ে ভর্তি করে দেয়া হবে।

কিন্তু এ দাবী মানতে নারাজ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি-
“পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এমনিতেই টেকনিক্যাল বিষয়ে এগিয়ে থাকে আর জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থীরা সেদিক থেকে পিছিয়ে।তো পলিটেকনিক এর সাথে জেনারেলের ভর্তি পরীক্ষা কোন ভাবেই যৌক্তিক না।”

তাদের এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে “এক দফা এক দাবি” নামে প্রতিবাদ শুরু করেছে।

গত বুধবার থেকে প্রতিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে এবং ক্যাম্পাসে শান্তি মিছিল করছে।শিক্ষার্থীদের ধারণা তাদের সাথে পলিটেকনিক ভর্তি করালে তাদের লেখাপড়ার স্টান্ডারিটি নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি উত্থাপন করেছে দাবিগুলো হলোঃ

•কারিগরি শিক্ষা বোর্ড তাদের নোটিশ বাতিল করে নতুন নোটিশ প্রকাশ করুক।

•সবগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একসাথে করে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন করা হোক।

•সব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশাসনিক ক্ষমতা কারিগরি বোর্ড থেকে সরিয়ে নেয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *