মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে বিতু কসাইয়ের দেওয়া গুড় খেয়ে বায়জিদের মৃত্যুর অভিযোগ!
নওগাঁর বদলগাছীতে বাজি ধরে দুই কেজি গুড় খেয়ে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ৩১শে আক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৮টায় দিকে উপজেলার ভাণ্ডারপুর বাজারে পাড়আধাইপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলের সাথে ইসমাইলপুর গ্রামের লবার ছেলে বিতু কসাই এর মধ্য গুড় খাওয়া নিয়ে বাজি হয়।
বিতু কসাই স্থানীয় এক দোকানির কাছ থেকে ২কেজি দানার গুড় কিনে এনে কৃষক বায়জিকে খেতে দেয়। বাজিতে দুই কেজি গুড় বায়জিদ খেতে পারলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য
আরও দুই কেজি গুড় কিনে দিবে
বিতু কসাই।
দুজনের কথা অনুযায়ী গুড় খাওয়ার বাজি খেলা শুরু হয়।
আধাঘণ্টার ব্যবধানে দুই কেজি গুড় খেয়ে ফেলে বায়জিদ নামের ব্যক্তি এবং গুড়ের সাথে ২০টির অধিক কাচা মরিচ খেয়ে ফেলেন । বাজি ধরার পূর্বে বেশ কয়েকটি কলা ও খেয়ে ছিলেন তিনি। অপর দিকে বাজিতে জয়ের পর আরও দুই কেজি গুড় দেওয়ার কথা থাকলেও বিতু কসাই তা না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় অন্যত্র। এসময় গুড় খাওয়ার বাজি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাই সেখানে।
বাজি ধরে গুড় খাওয়ার পর সচেতন মহলের একাধিক ব্যক্তি তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্ক জানতে চায় এবং তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন কিন্তু বাজিতে জয়ী ঐ কৃষক তার তার শরীরের অবস্থা ভালো বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বাজি শেষে স্বাভাবিক অবস্থায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর
অসুস্থ অনুভব করলে পরিবারের লোকজন তাকে আক্কেলপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ কৃষকের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
রিপন,বাবু সহ আরও জানান, বায়জিদ ইতিপূর্বেও বিভিন্ন জনের সাথে খাবার খাওয়া নিয়ে নানা সময়ে বাজি ধরে বাজিতে জিতেছে।
সে একটা সময় যুবক বয়সে গুড়,মিষ্টি রসগোল্লা,জিলাপি , কলার ছড়ি,পাকান, পাতিল ভর্তি খিঁড়, সহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী বাজি ধরে প্রচুর পরিমান খেয়ে নিতো। বয়স বেড়ে যাওয়ার কারনে এখন আর তেমন খুব বেশি পরিমান খেতে পারেন না।
মঙ্গলবার রাতে ভাণ্ডারপুর বাজারে বিতু কসাইয়ের খুব বেশি জোড়াজুড়িতে তার সাথে এক পর্যায়ে গুড় খাওয়ার বাজিতে রাজি হয় বায়জিদ ।
বুধবার বায়জিদের গ্রামের বাড়িতে তার মৃতদেহ এক পলক দেখতে হাজারও লোক ভিড় জমিয়েছে।
নিহত বায়জিদ এর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি,অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।