বিএনপি-জামাতের হরতালের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি-জামাতের হরতালের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

ইবি প্রতিনিধি:
দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের হরতালের নামে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় টেন্ট এর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শেখপাড়া সংলগ্ন বাজার ঘুরে পুনরায় দলীয় টেন্টে এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনিক, মৃদুল হাসান রাব্বি, মামুনুর রশীদ ও নাইমুর রহমান জয়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও হোসাইন মজুমদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ শেখসহ শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষদ ও হল ইউনিটের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘গতকাল সারাদিন ঢাকা শহরে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে যে পরিমাণ নৈরাজ্য করেছে, যেভাবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে৷ তার মাধ্যমে তারা তাদের যে খুনের রাজনীতি, নৈরাজ্যের রাজনীতি সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। বিএনপি যে সন্ত্রাসীর দল, মানুষ মারার দল গতকাল সেটা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। তারা কালকে সারাদিনের নৈরাজ্যের পর আজকে সারা দেশে হরতাল ডেকেছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এদেশের জনগণ তাদের এই অবৈধ হরতালকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। গাড়ি চলছে, দোকানপাট খোলা আছে, জনজীবন শান্ত রয়েছে। ওই অপশক্তিরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামান্য পরিমাণ অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করে, ক্যাম্পাসের আশেপাশেও যদি তাদেরকে দেখা যায় তাহলে ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে দাঁতভাঙা নয় পিঠভাঙা জবাব দেবে।’

সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘গতকাল রাজধানীব্যাপী বিএনপি-জামায়াত এক অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তারা অসংখ্য গাড়িতে আগুন দিয়েছে, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তারা পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করেছে। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিপরীতে রক্তের হলিখেলা খেলতেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। আমরা মনে করি, জামায়াত-বিএনপি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই অবৈধ হরতালকে লালকার্ড দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সবসময় সচল থাকবে, যদি কেউ বিঘ্ন ঘটাতে চায় ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত থাকবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *