চলে গেল রাব্বিও, পিংকির কী উপায়!
কিশোরগঞ্জ – এস এম মাসুম
তিন বছর আগে পিংকির ১০ বাবা মো. মানিক মিয়া ২৫ মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। তখন তাঁর একমাত্র ভাই ১১ বছরের রাব্বি সংসারের হাল ধরে। ঢাকায় বাদাম বিক্রি করত রাব্বি। তাতে কোনোরকমে চলে যেত ভাইবোনের। কিন্তু গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন রাব্বির প্রাণ কেড়ে নেয়। বাবার পর ভাইকে হারানো পিংকির এখন কী হবে?
এই প্রশ্নের জবাব পিংকিরও জানা নেই। বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। তাই তিনি সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন। পিংকিদের বাড়ি ভৈরবের শ্রীনগর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে।
পিংকি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাবাকে হারানোর পর আমার ছোট্ট ভাইটাই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। এই বয়সেই তাকে সংসারের বোঝা কাঁধে নিতে হয়েছিল। কিন্তু তাকেও এভাবে জীবন দিতে হলো!’ কথাগুলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পিংকি।
ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চারজনসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। ভয়াবহ এমন দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। একই দাবি করেছেন রাব্বির বোন পিংকিও।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে