মুবিন হাটহাজারী উপজেলা প্রতিনিধি
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার কাচারি সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয় ‘হাটহাজারী ট্রমা সেন্টার’। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকা।সেন্টারটির সেবার দরজা খোলেনি আজও।কর্তৃপক্ষের অনাগ্রহে এই সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ আছে বহু বছর ধরে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহতদের চিকিৎসার স্বার্থে পূর্ণাঙ্গ ট্রমা সেন্টার চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। হাটহাজারী উপজেলার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাউজান-পার্বত্য জেলা রাঙামাটি মহাসড়ক চলে গেছে। এই দুই মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিত্য ব্যাপার। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশা ছিল দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ট্রমা সেন্টার স্থাপনের। তাছাড়া হাটহাজারী – ফটিকছড়ি রোডে যে হারের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হচ্ছে। ট্রমা সেন্টারটি সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। এতো বছরে জনগণের আসার কোন প্রতিফলন নেই বললে চলে।সেন্টার নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ হয়নি। স্থাপন হয়নি কোন যন্ত্রপাতিও। আসবাবপত্রও সংযোজন হয়নি ট্রমা সেন্টারটিতে। নানান সংকটের কারণে চালু করা যাচ্ছেনা ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি। ২০১৯ সালের ৪ মে ট্রমা সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। তবে উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত চালুই হয়নি সেন্টারটি।