সোনাইমুড়িতে দুই মাসের আহবায়ক কমিটি এক বছর শেষ, ইউনিয়ন কমিটি করতে ব্যর্থ —

নোয়াখালী প্রতিনিধি-

মো:ইসমাইল

মাত্র দুই মাস সময় দিয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় গত বছরের ১৭ জুলাই। এরপর সময় গড়িয়েছে এক বছরের বেশি কিন্তু এখনো ইউনিয়ন কমিটি করতে পারেনি উপজেলা আহবায়ক কমিটি।

ইউনিয়ন গুলোতে একাধিক প্রার্থী থাকায় সবার সাথে সমন্বয় করতে সময় লাগায় কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি বলা হলেও বাস্তবতায় দেখা যায় ভিন্ন কারণ।

যতটা না ইউনিয়ন নেতাদের সমস্যা তার চেয়ে বেশি সংকট উপজেলা নেতাদের নিয়ে। তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ আর ইউনিয়ন গুলোতে নিজ গ্রুপের নেতা নিয়ে টানাটানি এই স্থবিরতার মূল কারণ বলে জানা গেছে।

এই প্রতিবেদক কথা বলে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে। তারা সবাই নতুনভাবে উজ্জীবিত হতে চান আগামী দিন গুলোতে। তবে উপজেলা কেন্দ্রীক কয়েকজন নেতার কারণেই ইউনিয়ন গুলোতে কমিটি গঠন হচ্ছে না। ফলে তৃণমূলে কিছুটা হতাশার চাপও আছে ।

গত বছরের ১৭ জুলাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সেই অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। ষাট দিনের মধ্যেই কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গুলো গঠন করিতে হইবে- এ কথা উল্লেখ থাকিলেও ১৩ মাস পার করে দিলেও কোন কমিটি গঠন করতে পারেনি তারা।

এ বিষয়ে কথা হলে, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব রেজায়ে রাব্বি মাহবুব বলেন ‘ বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় কমিটি গুলো এখনো করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য প্রচুর কাজ করতে হচ্ছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কমিটি করা সম্ভব হবে।

সদস্য সচিব মো. দিদার হোসেন এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আহবায়ক কমিটি অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে তারুণ্য নির্ভর কমিটি হওয়ায় তখন সবার মনেই এক ধরনের আশার সঞ্চার করেছিলো। কিন্তু বছর পার করার পর এখন কর্মীদের সেই আশা চুপসে যেতে বসেছে।

ইউনিয়ন কমিটি গঠন দুরের কথা আহবায়ক কমিটি ঘরোয়া পরিবেশ থেকেই বের হতে পারেনি। সাবেক এমপি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এর উপস্থিতিতে সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সোনাইমুড়ী শহরে প্রকাশ্যে সভা বা বিক্ষোভ প্রদর্শনে কোন স্বক্ষমতা দেখাতে পারেনি উপজেলা আহবায়ক কমিটি।

দলের বিভিন্ন কর্মসূচি তিনতলার উপর দলের অফিসে পালন করে আসছে। এমনকি অবস্থান কর্মসূচীও তিন তলার মধ্যেই পালন করা হয়েছে।

নতুন কমিটি ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি তখন এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘কমিটি না হলে দলের পাইপ লাইন জ্যাম হয়ে যায় এটা সত্যি। অনলি টু মানথ্ পরেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।’ এ বিষয় গতকাল পূনরায় প্রশ্ন করা হলে গোলাম হায়দার বিএসসি জানান তিনি মিটিংয়ে আছেন এ বিষয়ে আবদুর রহমান এর সাথে কথা বলতে বলেন।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির্ সম্পাদক আবদুর রহমানের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায় আহবায়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে কয়েকটি ইউনিয়নে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। বেশীরভাগ ইউনিয়ন গুলোতে নূন্যতম সাংগঠনিক তৎপরতা দেখাতে পারেনি। উপজেলা নেতাদের নিজস্ব বলয় তৈরি ও নিজেদের অনুগত লোক টানার প্রবণতা থাকায় তারা কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *