সেনবাগে ৬৭ বছর পূর্বের খরিদা সম্পত্তি জবর -দখলকারীর কাছে হারাতে বসেছেন মোহাম্মদ আহছান উল্যাহ।–

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি —

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৯ নং নবীপুর ইউনিয়নের শ্রীপদ্দি গ্রামের মোঃ আহসান উল্লাহ
বিগত ২২/০২/১৯৫৬ ইং জৈনক রাজকুমারের নিকট হতে ১১৩৪ নং কবলা মূলে শ্রীপদ্দি মৌজার সিএস জরিপীয় ১৪২ নং খতিয়ান বি এস ২১৫৩ দাগে ১৫.৭৫ শতাংশ ভূমি খরিদ সূত্রের মালিক।
বিগত ৩/৩/ ১৯৯৮ ইং তারিখে প্রদীপ চন্দ্র মজুমদার তপনচন্দ্র মজুমদার সেন্টু চন্দ্র মজুমদার, ও পিন্টু চন্দ্র মজুমদার সর্বপিতা মনোরঞ্জন মজুমদারের নিকট হইতে ১৩৭৫ নং কবলা মূলে শ্রীপদ্দি মৌজার বিএস ৩৪৬ নং খতিয়ানের ২১ ৫৩ দাগে ১৬ শতাংশের অন্দরে ১৩ শতাংশ ভূমি খরিদ সূত্রে মালিক।
৩/৩/১৯৮৮ ইং তারিখে মথুরানি মজুমদারের নিকট হইতে ১১৭৪ নং কবলা মূলে শ্রীফুদ্দি মৌজার বিএস ৩৪৬ নং খতিয়ানের ২১৫৪ দাগে ০৯ শতাংশ ভূমি খরিদ সূত্রে মালিক।
৩ টি দলিল মূলে ৩৭. ৭৫ শতাংশ ভূমি খরিদ সূত্রে মালিক দখলে বিদ্যমান আছেন মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ।
উক্ত ভূমিতে হঠাৎ করে ১৬/২/২০২২ ইং তারিখে ১৬৮০ নং কবলায় ২১৫৩ দাগে ১ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে জৈনক শেখ আহমদ আহছান উল্লাহর ১৯৫৬ সালের খরিদা সম্পত্তি দখল করার পায়তারাই লিপ্ত হয়।

আহসান উল্লাহ তার লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন আমার বিগত ৬৭ বছর পূর্বের সম্পত্তি হঠাৎ করে কেন তার নজরে আসলো এবং কেন সেই জবর দখল করার জন্য পায়তারা করতেছে এটা আমার বোধগম্য নয়।
যেই ১ শতাংশ জমি শেখ আহমদ পিন্টু মজুমদার থেকে ১৬/২/২০২২ ইং তারিখে ক্রয় করে সে সম্পত্তি ও আমার খরিদা সম্পত্তি।

আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার এবং এলাকার গণ্যমান্য সবাইকে বিষয়টি অবহিত করি ।
উক্ত সম্পত্তিতে শেখ আহমদ ১৪৪ ধারা জারি করে এবং নিজেই ২০/১২/২০২৩ ইং কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেখানে কেন অনধিকার প্রবেশ করে সেটি আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি।
জমি জবর দখলকারী শেখ আহম্মদ আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলে যে, এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাদের মেরে লাশ ঘুম করে ফেলবে।
আমি উক্ত বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, ভূমি সচিব ভূমিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা/ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উক্ত বিষয়ে শেখ আহমদের মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান আমি খরিদ সূত্রে জমির মালিক হয়েছি। আহছান উল্লাহর ১৯৫৬ সালে জমি ক্রয় করে দখলে আছে আপনি কিভাবে হঠাৎ করে এই জমির মালিক হলেন? উত্তরে জবাব দেয় আমি ২০২২ সালে সম্পত্তি ক্রয় করি তাহলে এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন?
এই সম্পত্তি জৈনক আহছান উল্লাহ বিগত ৬৭ বছর পূর্বে ক্রয় করে করে ভোগ দখলে আছেন । আপনি কেন এই সম্পত্তি ক্রয় করতে গেলে? এর প্রতি উত্তরে তিনি এলোমেলো কথা বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে।
এবং সে বলেন আমি নিজেও এই দাগে ২০২২ সালে কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেছি। আহছান উল্লাহ যদিও জমি ক্রয় করেছেন, উনার নামে উক্ত সম্পত্তি খতিয়ানভুক্ত হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *